বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক থেকে কর্মসংস্থান কর্মসূচিভিত্তিক ঋণ সহায়তা পাচ্ছে
শিল্প খাতে কর্মসংস্থানের গতি ত্বরান্বিত ও বহুমুখী করার উদ্দেশ্যে শিল্প ও বাণিজ্য পরিবেশের আধুনিকায়ন, শ্রমিকের সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারকরণ এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকহারে কর্মে প্রবেশের উপযোগী নীতি- কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাংক ‘কর্মসংস্থান কর্মসূচিভিত্তিক নীতি-কৌশল ঋণ সহায়তা’ প্রদানে সম্মত হয়েছে।
আগামী ৩ বৎসর মেয়াদে (২০১৯-২০২২) আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা হতে বাংলাদেশ সর্বমোট ৭৫ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ঋণ সহায়তা লাভ করবে যার প্রথম বৎসরের অংশ হিসেবে ২৫ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রস্তাব বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় চলতি মাসের ১২ তারিখ অনুমোদন লাভ করেছে। বিশ্বব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ঋণের মধ্যে এইটি সর্ববৃহৎ একক ঋণ। বাজেট সহায়তা হিসেবে প্রাপ্ত উক্ত অর্থ সরকার যে কোনো উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত প্রায় ১০ বৎসরে বাংলাদেশে এটি বিশ্বব্যাংকের প্রথম নীতি-কৌশল ঋণ সহায়তা। সরকার কলকারখানা প্রতিষ্ঠা ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে পুরাতন আইন সংশোধন বা পরিবর্তন করে নুতন আইন, নীতি প্রণয়ন করেছে। ইতোমধ্যে সরকার ওয়ান স্টপ শপ আইন, ২০১৮, শ্রম আইন (সংশোধন), ২০১৮, ওয়েজ আর্নার ওয়েলফেয়ার বোর্ড আইন, ২০১৮ এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করেছে। নতুন কাস্টম আইন, ২০১৮ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়েছে। শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন, ২০১৮ এবং কোম্পানি আইন (সংশোধন), ২০১৮ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। জাতীয় পরিবেশ নীতি, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে।
সরকারি চাকুরিজীবীদের পৃথক পেনশন অফিস প্রতিষ্ঠা করে সকল নাগরিকের জন্য একটি সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তুতি চলছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশ আধুনিকায়ন, শ্রমিকের অধিকতর সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও সকল শ্রেণির মানুষের কর্মে অধিকতর প্রবেশে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত উপরোক্ত আইন, বিধি ও নীতি-কৌশল সংস্কারের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে তা বাস্তবায়নে এ ঋণ অনুমোদন বর্তমান সরকারের প্রতি বিশ্বব্যাংকের আস্থার বহিঃপ্রকাশ। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের অংশীদারীত্বমূলক সম্পর্ক আরো গভীরতর হবে বলে সরকার মনে করে।