বাংলাদেশ দূতাবাস খোলার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে -পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বুয়েনস আয়ার্সে ক্যাস্টেলার হোটেলে ২৩ মার্চ ‘আর্জেন্টিনা বাংলাদেশ চেম্বার অভ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এবিসিসিআই)’ আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বাংলা, স্প্যানিস ও ইংরেজি ভাষার মেলবন্ধনে বহুজাতিক ও বহুভাষিক সংস্কৃতির আবহে এবিসিসিআই আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পরিণত হয় বুয়েনস আয়ার্সে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালি ও আর্জেন্টিনাবাসীর এক মিলন মেলায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ ডেলিগেশনের অন্যান্য সদস্যদের কাছে সেদেশে প্রবাসী বাঙালিরা আর্জেন্টিনায় পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস খোলার দাবি জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অত্যন্ত ধৈর্য্য ও আন্তরিকতা নিয়ে আর্জেন্টিনা প্রবাসী বাঙালিদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কথা শোনেন। তিনি বলেন, ‘বুয়েনস আয়ার্স -এ বাংলাদেশ দূতাবাস খোলার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। তাছাড়া এখানে একজন অনারারি কনসাল নিয়োগের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন আছে’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রার কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি ও আর্জেন্টিনাবাসীদের সামনে তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের বিস্ময়কর আর্থসামাজিক অগ্রগতি, জিডিপি’র অব্যাহত প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ, সবধরণের অবকাঠামোগত সুবিধা সম্বলিত একশটি বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চল গঠন, বিদ্যুৎ ও জ্বালনির পর্যাপ্ততা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ওয়ান স্টপ সার্ভিস, দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্বাবধানে টাক্সফোর্স গঠন, প্রবাসী দিবস পালনসহ প্রবাসীদের কল্যাণে গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা। অর্জিত অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও জ্ঞান ব্যবহার করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বুয়েন্স আয়ার্সে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক ২য় উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন (বাপা+৪০) -এ বাংলাদেশের সফল অংশগ্রহণ এবং আর্জেন্টিনায় আগমনের ভিসা সুবিধা বৃদ্ধি করতে আর্জেন্টিনার সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধির সাথে ফলপ্রসূ বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন । পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্জেন্টিনার নাগরিকদের বাংলাদেশের বন্ধু উল্লেখ করে ‘ফ্রেন্ডস অভ লিবারেশন ওয়ার অনার’ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত আর্জেন্টিনার লেখিকা ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো (ঠরপঃড়ৎরধ ঙপধসঢ়ড়) ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তা স্মরণ করেন। অনুষ্ঠানটিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও প্রবাসীদেরকে বিনিয়োগে আকর্ষণ করা সংক্রান্ত দুটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।