প্রধান মেনু

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৩০ মাঘ (১৩ ফেব্রুয়ারি) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :“বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে আমি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দেশের সমুদ্রচারী ও উপকূলীয় জনগণের কাছে একটি অতি পরিচিত ও বিশ্বস্ত নাম। দেশের অভ্যন্তরীণ নদীপথ ও উপকূলীয় অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলারক্ষা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তাবিধান, চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধ, মাদকের বিস্তাররোধসহ সামুদ্রিক সম্পদরক্ষায় এ বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে কোস্টগার্ডের ক্রমাগত তৎপরতার ফলে বিগত বছরে চুরির ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রাম বন্দর একটি নিরাপদ বাণিজ্যিক স্থান হিসাবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতিলাভ করেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বেগবান হয়েছে। এছাড়া মাদকপাচার প্রতিরোধ ও দেশের জাতীয় সম্পদ ইলিশসংরক্ষণেও কোস্টগার্ড গুরু্ত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। একই বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো ক্রমাগত প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম এবং নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থেকে অর্পিত দায়িত্বপালন। আমি আশা করি, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর সদস্যগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্বপালন করে কোস্টগার্ডের ভামূর্তি আরো উজ্জ্বল করতে সদাতৎপর থাকবে।

বর্তমান সরকার কোস্টগার্ডের আধুনিকায়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে কোস্টগার্ডকে একটি আধুনিক দ্বিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে এ বাহিনীর যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। দেশের জলসীমায় নজরদারিবৃদ্ধি এবং উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তাবিধানে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর সদস্যগণ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্বপালন করে যাবে-এটাই সকলের প্রত্যাশা।

আমি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”