প্রধান মেনু

বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডা – বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কানাডা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও কানাডার ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে, ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা চিহ্নিত করে সরকারের কাছে সুপারিশ করতে হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীগণ পারস্পরিক দেশ সফর করে সরকারের কাছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করলে উভয় দেশ সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সাথে আজ ঢাকায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোয়েট প্রিফনটেইন এর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য একটি ফোরাম গঠন করা প্রয়োজন। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে এবং ব্যবসায়ীদের তৎপরতা আরো বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ ব্যাপক বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কানাডার ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বেশি লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। কানাডায় বাংলাদেশের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কানাডার রাষ্টদূত বলেন, বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে।

কানাডা বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় প্রদান করেছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে কানাডা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং এ ইস্যুতে কানাডা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাণিজ্যের পাশাপাশি কানাডা শিক্ষা খাতে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে কানাডা বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিয়ে যাবে। কানাডায় বাংলাদেশের পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ বাণিজ্য আরো বাড়ানো সম্ভব। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কানাডার ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সাথে বসে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধির প্রচারণা চালাতে হবে। এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে ঢাকায় নিযুক্ত স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূত জোজেফ ড্রোফেনিক বৈঠক করেন। এ সময় উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ সময় বাণিজ্য সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।