প্রধান মেনু

বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের এফডিএ বাড়ানো সম্ভব -বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। থাইল্যান্ডের অনেক পণ্যের বাংলাদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশেরও অনেক পণ্য থাইল্যান্ডে যায়।সংগত কারণেই দু‘দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য থাইল্যান্ডের পক্ষে। বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিএ) বৃদ্ধির মাধ্যমে দু‘দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমানো সম্ভব। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ চলছে। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছে। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। বাণিজ্যমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে চারদিন ব্যাপী “থাইল্যান্ড ট্রেড ফেয়ার : টপ থাই ব্র্যান্ড-২০১৯” এর উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ভিসা ও যাতায়াত সহজ হলে পর্যটন শিল্প বিকাশ লাভ করবে। সুযোগ সৃষ্টি করা হলে বাংলাদেশে প্রচুর পর্যটক আসবে। উভয় দেশের বাণিজ্য ও পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জটিলতাগুলো দূর করা হলে বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, এবারের থাইল্যান্ড ট্রেড ফেয়ার : টপ থাই ব্র্যান্ড-২০১৯ এ থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের আমদানিকারকসহ মোট ৭৬টি প্রতিষ্ঠান মেলায় পণ্য প্রদর্শন করছে। মেলায় স্বাস্থ্য সেবা, প্রসাধনী, সৌন্দর্য ও সুস্থতা পণ্য, বেডিং, স্পা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, স্টেশনারি, গৃহস্থালি পণ্য, তাজা ফল, খাদ্যদ্রব্য, টেক্সটাইল এবং ফেব্রিক, অলংকার ও শিশুপণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বল রুমে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম. আমিনুল ইসলাম ও ঢাকাস্থ থাই অ্যাম্বাসির চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ক্রাইচক অরুনপাইরোজকুল (Kraichok Arunpairojkul)  বক্তৃতা করেন।