প্রধান মেনু

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ওয়াহিদুল হক এক অনিবার্য নাম – সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২২ ফাল্গুন (৬ মার্চ) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ওয়াহিদুল হক এক অনিবার্য নাম, যাঁর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বে আমাদের সাংস্কৃতিক পদযাত্রার এক অমোচনীয় অধ্যায় তৈরি হয়েছে। তিনি যেমন কণ্ঠশীলনের একজন প্রতিষ্ঠাতা তেমনি এ দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ছায়ানট, রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদেরও একজন প্রতিষ্ঠাতা।

ভাষা, সংগীত ছাড়াও রাজনীতি, সংস্কৃতি, গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ইতিহাস, চিত্রকলাসহ অনেক বিষয়ে তাঁর অসামান্য দখল ছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা শিল্পী সংস্থার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন।  প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে প্রসিদ্ধ বাচিক চর্চা প্রচার ও প্রসার প্রতিষ্ঠান কণ্ঠশীলন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব ২০২০ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এবারের মিলনোৎসবের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান। প্রখ্যাত অভিনেতা ও আবৃত্তিশিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম এ মিলনোৎসব উদ্বোধন করেন। প্রধান অতিথি বলেন, ওয়াহিদুল হক রবীন্দ্রনাথকে অবলম্বন করেছেন প্রবলভাবে। ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগে আমাদের সাহিত্য, শিল্পকলা, বিজ্ঞান, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে যে বিচ্ছিন্নতা দেখা দিয়েছিল, সেটিকে তিনি রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর চিন্তা-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জোড়া লাগাতে চেয়েছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবদ্দশায় যেমন ওয়াহিদুল হক মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন তেমনি আজও তাঁর প্রতি বাঙালির নিখাদ ভালোবাসার একটু কমতি নেই। কোনোদিন কোনো স্বীকৃতির মোহ তাঁকে আবিষ্ট করতে পারেনি। সংগীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৮ সালে তিনি একুশে পদক (মরণোত্তর) এবং ২০১০ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।

কণ্ঠশীলনের সভাপতি গোলাম সারোয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক গোলাম কুদ্দুছ। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন কণ্ঠশীলনের অধ্যক্ষ মীর বরকত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিলনোৎসব উদ্‌যাপন পরিষদের আহবায়ক মোস্তফা কামাল। উল্লেখ্য, এ বছর ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব সম্মাননা ২০২০ প্রাপ্ত হয়েছেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মঞ্চসারথি আতাউর রহমান।