বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অভ্ ওয়ার্ল্ড ল্যাংগুয়েজের রেক্টরের মধ্যকার বৈঠক

তাসখন্দ (উজবেকিস্তান), ২৯ ডিসেম্বর : উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অভ্ ওয়ার্ল্ড ল্যাংগুয়েজের রেক্টর ড. ইললমজন তুখতাসিনভ এর মধ্যে আজ একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস রেক্টর প্রফেসর ড. নাসিরভ আবদুআলিম এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. খুসানবর ইউলডাসেভ।
রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে দু’দেশের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুপ্রতিম এ সম্পর্ককে আরো মজবুত ও শক্তিশালী করতে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময় ও আদান প্রদানের ওপর জোর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রাচুর্যতা ও বৈচিত্র্যতার কথা উল্লেখ করে তা উজবেকিস্তানে প্রচার, প্রসার ও বিকাশের জন্য তিনি রেক্টরের আন্তরিক সমর্থন কামনা করেন। এর মধ্য দিয়ে দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্ব ও বোঝাপোড়া আরো সহজ, সরল ও সাবলীল হবে বলে রাষ্ট্রদূত যোগ করেন। প্রসঙ্গক্রমে তিনি ‘অমর একুশের’/ ‘মহান ভাষা দিবসের’ ইতিহাস ও তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করে বলেন যে, ২১শে ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সমগ্র বিশ্বে পালিত হচ্ছে। বিশ্ব শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি তথা বহুভাষা ও সংস্কৃতিকে লালন ও বিকাশে এ দিবসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় তা যথাযথ মর্যাদার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে পালন করা যেতে পারে বলে রাষ্ট্রদূত অভিমত প্রকাশ করেন।
রেক্টর ড. তুখতাসিনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য অর্জন ও স্বীকৃতির বর্ণনা দিয়ে উজবেক ভাষায় অনুদিত বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুস্তক ও দলিলের কথা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের বিখ্যাত সাহিত্য-কর্ম উজবেক ভাষায় অনুবাদ করার বিষয়ে তিনি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলা ভাষার প্রচার ও প্রসারে, বিশেষ করে মহান ভাষা দিবস পালনে তিনি সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মধ্যে শিক্ষক ও ছাত্র বিনিময়সহ ভাষা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন।