বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পাশাপাশি এগিয়ে চলছে— বীর বাহাদুর উশৈসিং

বান্দরবান, ২১ ফাল্গুন (৬ মার্চ) : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে। শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলের মানুষের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এ অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে।
আজ বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে বান্দরবান জেলা প্রশাসন আয়োজিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে বান্দরবান জেলা সম্প্রীতির জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলে মিলে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে বসবাস করছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করে আলাদা আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে তার পরিকল্পনাগুলো গ্রহণ করছে।
সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও ব্যক্তিদের উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর ফলে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সমানভাবে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্মপ্রাণ মানুষেরা কখনোই সাম্প্রদায়িক হয় না। ধর্মপ্রাণ মানুষ সবসময় অন্যের কল্যাণ কামনা করেন। সেজন্য ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা প্রচারের মাধ্যমে উন্নত মানুষ ও সুনাগরিক তৈরিতে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আব্দুল আউয়াল হাওলাদার, বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার জেরিন আখতার প্রমুখ। সমাবেশে বান্দরবান জেলার বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, এনজিওকর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।