প্রধান মেনু

বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সৌদি পর্বের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বাংলাদেশেই সম্পন্ন করা হবে — ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৯ চৈত্র (১২ এপ্রিল) : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেছেন, এ বছর থেকেই বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বাংলাদেশে সম্পন্ন করা হবে। এতে করে হজযাত্রীদের জেদ্দা বিমানবন্দরে ৬-৭ ঘণ্টা অপেক্ষার সময় ও কষ্ট লাঘব করা সম্ভব হবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হজ ব্যবস্থাপনার সার্বিক উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে রাজকীয় সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে আমার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সৌদি আরব সফরকালে সেদেশের কর্তৃপক্ষকে সৌদি আরবের পরিবর্তে হজযাত্রীদের বাংলাদেশেই প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করার অনুরোধ করি। একই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবের ডাইরেক্টর জেনারেল (পাসপোর্ট) মেজর জেনারেল সোলাইমান আব্দুল আজিজ ইয়াহ ইয়াহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গত ৯ এপ্রিল ২০১৯ বাংলাদেশ সফরে এসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেন এবং বিভিন্ন ভেন্যু সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, সফরকারী প্রতিনিধিদলটি তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সৌদিআরবের পরিবর্তে বাংলাদেশে সম্পন্ন করার বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পারস্পরিক সর্বাত্মক সহযোগিতার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন। উভয় পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসারে, আসন্ন পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাবেন। মোট হজযাত্রীর শতকরা ৫০ভাগ বিমান  বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও অবশিষ্ট ৫০ ভাগ সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করবে। প্রচলিত রীতি অনুসারে আসন্ন হজে বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীরা আশকোনা হজ ক্যাম্পে ও সৌদি এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করবেন।

এরপর উভয় বিমানের হজযাত্রীদেরকে শাহজালাল বিমানবন্দরের একটি এক্সক্লুসিভ জোনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করে হজযাত্রীরা নিজ নিজ বিমানে আরোহণ করবেন। এক্সক্লুসিভ জোনের সব কার্যক্রম থাকবে সৌদি আরব নিয়োজিত টেকনিক্যাল দলের হাতে। তিনি বলেন, শাহজালালআন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে  আসন্ন হজ মৌসুমে হজ ভিসার জন্য এম্বেসিতে পাসপোর্ট জমা দেয়ার আগেই দেশের আট বিভাগে প্রত্যেক হজযাত্রীর দশ আঙুলের হাতের ছাপ সংগ্রহ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি হজযাত্রীদের বাড়িভাড়া সংক্রান্ত  আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি ইতোমধ্যে হজযাত্রীদের জন্য বাড়িভাড়ার কাজ সম্পন্ন করেছেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দনজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, ধর্ম সচিব মোঃ আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব  ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, কাউন্সেলর (হজ) জেদ্দা মোঃ মাকসুদুর রহমান, যুগ্মসচিব (হজ) এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।