বাংলাদেশকে জানতে হলে জাতির পিতা সম্পর্কে জানতে হবে — মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৭ চৈত্র (২১ মার্চ) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে জাতির পিতা সম্পর্কে জানতে হবে। একজন বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই আমারা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির জন্য একটি জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিআরসি সম্মেলন কক্ষে ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে বিটিআরটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মূল শক্তি ছিলো এ দেশের মানুষ। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ঘৃণ্য ষঢ়যন্ত্র করা হয়েছিল। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬, এই ২১ বছর বাংলাদেশকে পশ্চাৎপদতার দিকে দাবিত করা হয়েছিল। রাজাকারদের গাড়িতে পতাকা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে। ধর্মকে নিয়ে নির্লজ্জ রাজনীতি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন একজন মানুষ। তিসি মাত্র ৯ মাসে জাতীয় সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। বহিঃবিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগ সম্পসারণে ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেনবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
মন্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনের ১৩ বছর জেল খেটেছেন। এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মৃত্যুর মুখোমুখী দাঁড়িয়েও তিনি বলেছিলেন, ‘আামি বাঙালি, আমি মুসলমান। মুসলমান একবাই মরে বার বার মরে না’। মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ার ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও ধনী দারিদ্র্যের বৈষম্য নিরসনে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। মন্ত্রী গত দশ বছরে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের তুলনামূলক অর্থনৈতিক সূচক তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়। গত দশ বছরে দেশে মাথা পিছু আয় ৫৫৬ ডলার থেকে ১৯০৯ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ কোথায় যাবে তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।
মন্ত্রী বিটিআরসিকে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যত ডিজিটাল অগ্রগতি হবে ডিজিটাল অপরাধও তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়াবে। জনগণকে ডিজিটাল অপরাধ থেকে নিরাপদ রাখার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গহণের লক্ষ্যে অতীতের মেধা ও দক্ষতার আমূল পরিবর্তন সাধন করতে হবে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সাল স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। এই দুটি বছর জাতির উৎসবের বছর উদযাপনের বছর। এই সময়ের জন্য তিনি যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপযোগী হিসেবে নিজেদের তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক এবং কমিশন সদস্য আমিনুর রহমান অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।