রাজশাহীতে ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে তুলাচাষের সম্ভাবনা’ বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাজশাহীর বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সম্প্রসারিত তুলাচাষ প্রকল্প (ফেজ-১) আয়োজনে এবং রাজশাহী জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোজাদ্দীদ আল শামীম-এর উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।রাজশাহী জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তুলা উন্নয়ন বোর্ড খামারবাড়ি ঢাকার নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ ড. ফরিদ উদ্দিন।আরো বক্তব্য রাখেন তুলা উন্নয়ন বোর্ড রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক আবু ইলিয়াস মিয়া, কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন সম্প্রসারিত তুলাচাষ প্রকল্প (ফেজ-১)-এর প্রকল্প পরিচালক ড. গাজী গোলাম মোস্তফা।কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক তুলা চাষীসহ, কৃষিবিদ, বিএডিসি, বিএমডিএ, বারি, ইরি, গম গবেষণা, ফল গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ।রাজশাহী জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোজাদ্দীদ আল শামীম জানান, মানুষের মৌলিক চাহিদা বস্ত্র। এর অভাব পুরণে বস্ত্র শিল্প এদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আর এই বস্ত্র শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত তুলার উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে তুলার সম্প্রাসারণ, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, বীজ উৎপাদন ও বীজ বিতরণ, মার্কেটিং ওজিনিং এবং ঋণ বিতরণের মাধ্যমে তুলা চাষ সম্প্রসারণে তুলা উন্নয়ন বোর্ড নিয়োজিত।তিনি আরো বলেন, তুলাচাষ সম্প্রসারণ কাজে চাষীদের তুলা উৎপাদনের প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান দান, প্রশিক্ষণ প্রদান, গবেষণা কেন্দ্রে ট্রায়াল স্থাপন ও প্রদর্শনী প্লট স্থাপন, বিভাগীয় ঋণ বিতরণ ও আদায় চাষী সমাবেশ ও মাঠ দিবসের মাধ্যমে চাষীদের তুলা চাষে উদ্বুদ্ধকরণ কাজে জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ মাঠ পর্যায়ে কাজ করে থাকেন। রাজশাহী জোনের ৪টি জেলা- রাজশাহী, নাটোর, চাপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার ১৬টি উপজেলায় অবস্থিত ২০টি ইউনিটের মাধ্যমে তুলাচাষ সম্প্রসারণ কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় ৬ হাজার তুলা চাষীর মাধ্যমে ৯ হাজার কেজি বীজ বিতরণ করে, তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪শ, হেক্টর জমিতে। আর এখান থেকে উৎপাদন হবে ১৩ হাজার ৩২১ বেল তুলা।

(মোঃশামসুল ইসলাম, রাজশাহী)