প্রধান মেনু

বন্দুকের নলে ক্ষমতা দখল করে ‘কারফিউতন্ত্র’ করেছিলেন জিয়া -তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান বন্দুকের নলে ক্ষমতা দখল করে ‘কারফিউতন্ত্র’ করেছিলেন।’ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের ‘দেশে গণতন্ত্র নেই, একনায়কতন্ত্র’ মন্তব্যের জবাবে ‘জিয়াউর রহমান যখন বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, তখন কোন তন্ত্র ছিল?’ প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘যে দলের জন্ম বন্দুকের নল আর ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট দিয়ে, সেই দলের মহাসচিব হচ্ছেন মীর্জা ফখরুল। দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই তিনি সকাল বিকাল গলা উঁচিয়ে কথা বলতে পারছেন, গণতন্ত্র নেই- গণতন্ত্র নেই বলে চিৎকার করতে পারছেন।’
‘জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা, নৌ ও প্রায় ৭০০ বিমান বাহিনীসদস্য হত্যা করেছেন, বন্দুকের নলে দখল করা ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে রাতের বেলা লাগাতার কারফিউ দিয়ে ‘কারফিউতন্ত্র’ করেছেন’, বলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।  বেগম জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে না- এমন অভিযোগের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়ার চিকিৎসার  জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের দু’টি কেবিন অনেকদিন ধরে বরাদ্দ, এমনকি এখনও খালি রাখা আছে। কিন্তু তিনি সেখানে যাবেন না।’
‘আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের জীবন সংকটে তাকে ইউনাইটেড বা বাসার কাছের স্কয়ারে নেয়া হয়নি, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নেয়া হয়েছে, যার চিকিৎসার প্রশংসা করেছে বিদেশী বিশেষজ্ঞবৃন্দ। কিন্তু বেগম জিয়া সেখানে যাবেন না। এটা কার দায়!’  বেগম জিয়াকে প্রয়োজনে নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী’র ‘নির্মীয়মান কারাগারে বেগম জিয়ার স্থানান্তর পরিকল্পনা’ এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়াকে পুরাতন কারাগারে সুব্যবস্থায় রাখলে তারা বলেন ‘পরিত্যক্ত জায়গা’ আর নতুন  কারাগারের কথা বললে বলেন ‘নির্মীয়মান কারাগার’!’ ‘তাহলে কোথায় রাখতে হবে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বেগম জিয়াকে? পাঁচতারা হোটেলে!’- প্রশ্ন রাখেন ড. হাছান।
এসময় ‘বিএনপি’র রাজনীতি বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যনির্ভর হয়ে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার এই হাঁটুর ব্যথা নতুন নয়, এই ব্যথা হয়েছিল আরো ১৫ থেকে ২০ বছর আগে। এই হাঁটুর ব্যথা নিয়েই তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দুইবার বিরোধী দলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবং তিনি বিএনপির মতো একটি দলের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেছেন। এটি কোনো নতুন অসুখ নয়, এরপরও খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। বেগম জিয়ার জন্য কারাগারে সার্বক্ষণিক ডাক্তার, ফিজিওথেরাপিস্ট ও নার্সের পাশাপাশি উপমহাদেশের ইতিহাসের সব রীতিনীতি ভেঙ্গে বেগম জিয়ার পছন্দের গৃহপরিচারিকা ফাতেমাকে কারাগারে তার সাথে দেয়া হয়েছে। দেয়া হয়েছে বিশেষ বিছানা, ফ্রিজ, টিভি এবং পৃথক রান্নাঘরও। তারপরও বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি’র রাজনীতি করা দুঃখজনক।’ আওয়ামী লীগের সমাজকল‌্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ দলীয় নেতা-কর্মীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।