প্রধান মেনু

বছরে উজান হতে ১দশমিক ২ বিলিয়ন টন পলি বাংলাদেশে এসে জমা হয়–জাহিদ ফারুক

ঢাকা, ২৮ চৈত্র (১১ এপ্রিল): পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সুনামগঞ্জ জেলায় প্রতিবছর আগাম বন্যায় ফসল রক্ষা বাধ ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়, তবে অগ্রীম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ২০১৭ সাল হতে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে । ভারতের চেরাপুঞ্জির বৃষ্টির পানি এসে সুনামগঞ্জে জমা হয়। প্রতিবছর উজান হতে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন টন পলি আমাদের দেশে চলে এসে জমা হয়। ফলে নদীর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে। নদী ও খালে পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে । ড্রেজিং করে এসব নদী ও খাল রক্ষা করার কাজ চলমান রয়েছে।

আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে হাওড়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুক । সংবাদ সম্মেলনে উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বক্তব্য রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, সুনামগঞ্জ হাওড়ে মোট ১হাজার ৭শ ১৮ কি.মি. বাধ রয়েছে, এর মধ্যে ৫শ৩৫ কি.মি. বাধের কাজ ড্রোনের মাধ্যমে ছবি সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই ও মনিটরিং করা হয়েছে। সাম্প্রতি বন্যায় হাওড়ের ৩টি স্থানে ১৭০ মিটার বাধ ভেঙ্গে গেছে, দুটি স্থানের বাধের মেরামত কাজ চলমান রয়েছে। অন্যান্য হাওড়ে ধান কাটা অব্যাহত রয়েছে।

জাহিদ ফারুক বলেন, দেশে ৭টি হাওড় জেলার ৩শ ৭৩ টি হাওড়ের মধ্যে সুনামগঞ্জে সর্বাধিক হাওড় রয়েছে। এবছর জেলায় মোট ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে ফসল চাষ করা হয়েছে। আকস্মিক বন্যায় হাওড়ের ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এছাড়া সিলেট ও সুনামগঞ্জে হাওড়ের বাধে ১৩৬ টি স্থানে সিপেজ এর সৃষ্টি হয়েছে, এর মধ্যে ৮৮টি সম্পূর্ণ মেরামত করা হয়েছে, ৩৮ টির কাজ চলমান রয়েছে। ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ অনুযায়ী ৬৪টি জেলায় নদী খননের লক্ষ্যে ৫১১ টি নদীর যায়গায় ৬২৭ টি ছোট নদী ও খাল খনন কাজ চলমান রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ জেলার জন্য ১৫শ ৪৭ কোটি টাকার ১৪ নদী খননের একটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে যার দৈর্ঘ ৩শ ২৭ কি. মি.; সংযুক্ত খাল ২শ ৫০কি:মি: । নভেম্বরে একনেকে পাশ হলে ২০২৩ সালে কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, দুর্নীতি অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । হাওড় প্রতিরক্ষা বাধ ভেঙ্গে ফসলহানির ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য নগদ অর্থসহ কৃষিঋণ মওকুফসহ যা যা করা দরকার তা করা হবে, কৃষি মন্ত্রণালয় হতে সহায়তা করা হবে বলে জানান এনামুল হক শামীম।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বক্তব্য রাখেন।