প্রধান মেনু

বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারের উপহার—-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ১ কার্তিক (১৭ অক্টোবর): সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারের উপহার। পর্যায়ক্রমে সকল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে এ বীমার আওতায় আনা হবে।

মন্ত্রী আজ রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ দাবী প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রুহুল আমীন খান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশীদ।

মন্ত্রী বলেন, চার ধরনের এনডিডি ব্যক্তির জীবনমান উন্নয়নে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে এনডিডি ব্যক্তিদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও কেয়ার গিভারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাঁদের জীবনকে সহজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমার পাইলটিংয়ের মাধ্যমে এর কার্যকারীতা প্রমাণিত হয়েছে। ভবিষ্যতে সকল এনডিডি ব্যক্তিকে এর আওতায় আনার জন্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতার আওতায় আনার পাশাপাশি বীমা সুবিধায় অন্তর্ভুক্তিকরণের ফলে তাদের জীবযাত্রা সহজ হবে। পরে মন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের হাতে বীমা দাবির চেক হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এনডিডি ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এর সাথে সমন্বয়পূর্বক একটি স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

১ মার্চ ২০২২ খ্রি. তারিখ জাতীয় বীমা দিবসে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ আনুষ্ঠানিকভাবে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা জেলার আওতাধীন উপজেলাসমূহে এক বছরের জন্য পাইলটিংভিত্তিক কার্যক্রম চালু হয়। বীমাকৃত ব্যক্তি/বীমাকৃত ব্যক্তির অভিভাবকের বার্ষিক আয় তিন লক্ষ টাকার কম হলে একশত পঞ্চাশ টাকা এবং বার্ষিক আয় তিন লাখ টাকার চেয়ে বেশি হলে ছয়শত টাকা হারে প্রিমিয়াম প্রদান করে বীমার আওতায় আসতে পারবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে  ৫০৪ জন এনডিডি ব্যক্তিকে বীমা কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে তন্মধ্যে বীমা দাবি প্রদানের আবেদনের ভিত্তিতে ২০২ জন বীমাকৃত ব্যক্তির মধ্যে মোট নয় লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার আটশত আঠারো টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়। বর্ণিত এ বীমা কার্যক্রমটির পাইলটিং শেষে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক মূল্যায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে একটি কার্যকর স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক সেবা গ্রহীতাদের মাঝে বীমা চালুর পর্যায়ে রয়েছে।