বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে কোনো রকম আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মধ্যে রাখেননি—-লেজিসলেটিভ সচিব

ঢাকা, ৫ চৈত্র (১৯ মার্চ): লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবির বলেছেন, শিক্ষা একটি রাষ্ট্রের ভিত রচনা করে, সে কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমেই শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক করেছিলেন। তিনি শিক্ষাকে কোনো রকম আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মধ্যে রাখেননি। সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দিয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্র্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আজ রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবারে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “আইন প্রণয়নে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আইন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আয়োজনে শিশু আইনে উল্লিখিত শিশু অধিকার সম্পর্কিত সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন সচিব । অনুষ্ঠান শেষে শিশু পরিবারের এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের লক্ষ্যে The Primary Schools (Taking Over) Act, 1974 প্রণয়ন করেন। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। বঙ্গবন্ধুর সময়েই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে বই, অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণ করা হত শিশুদের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ্ব করতে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের বিনা বেতনে পড়ার সুযোগও দিয়েছিলেন তিনি। গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পোশাকও দেওয়া হত।
সচিব আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুই সংবিধানে যুক্ত করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা হবে প্রজাতন্ত্রের সকল শিশুর জন্য বাধ্যতামূলক। বহু বিত্তহীন ও দরিদ্র পরিবার আছে, যারা দুই বেলা খেতে পায় না, তারা শিশুদের স্কুলে পাঠাবে কীভাবে? তাদের তো অর্থ নাই। সেজন্যই তিনি সবার জন্য বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালুকরণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন। তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবারের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারী এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।