বঙ্গবন্ধু ট্যুর-ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১২ পৌষ (২৭ ডিসেম্বর): জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগামীকাল ২৮ ডিসেম্বর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর-ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতা-২০২০’ অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২৮-৩০ ডিসেম্বর ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর-ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতা-২০২০’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে একটি স্মরণিকা প্রকাশের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’র কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত এ কর্মসূচিটি বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে নবীন প্রজন্মকে দুঃসাহসিক কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে জাতিগঠনমূলক কাজে আত্মনিয়োগে গুরু্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। রাঙামাটির সাজেক থেকে বান্দরবানের থানচি পর্যন্ত ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের এই প্রতিযোগিতায় ১০০ জন মাউন্টেন বাইকার অংশগ্রহণ করছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রায় দুই দশক ধরে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতময় পরিস্থিতি উত্তরণে এবং এ অঞ্চলে স্থায়ী ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি করে। এই চুক্তির পর থেকে আমরা পার্বত্যবাসীর জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমাদের সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার সুফল পার্বত্যবাসী আজ ভোগ করছেন। পার্বত্য অঞ্চল এখন আর কোন পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়।
পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী ১২টি জাতিগোষ্ঠীর অনন্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত সংস্কৃতি ও বৈচিত্রময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এ অঞ্চল সারা দেশের জনগণের নিকট অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পর্যটকরাও এখন পার্বত্য অঞ্চল ভ্রমণে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন যা শান্তিচুক্তির আগে ছিল অলীক কল্পনা।
‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর-ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতা-২০২০’ আয়োজনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে টেকসই পর্যটনের প্রচার ও প্রসার ঘটবে এবং নতুন প্রজন্ম দেশের বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করবে। এ প্রতিযোগিতা পর্যটন খাতের অগ্রগতি ও টেকসই পর্যটনের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি।
আমি আশা করি, পাহাড় ও সমতলের জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সারা দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।
আমি ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর-ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক প্রতিযোগিতা-২০২০’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”