প্রধান মেনু

বঙ্গবন্ধু গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন – মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা, ৮ ভাদ্র (২৩ আগস্ট): ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দেশের সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমসমূহ তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। বিশেষ প্রেস এডভাইস অবজ্ঞা করে তা করা সম্ভবও ছিল না। সে সময় সংবাদমাধ্যম সাহসী ভূমিকা রাখতে পারলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে সংবাদপত্র অবাধ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে পেরেছে বলেই মিথ্যা, কাল্পনিক ও মনগড়া বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করে বঙ্গবন্ধু সরকারকে হেয় করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী গতকাল রাতে বাংলাদেশ জার্নালিজম কাউন্সিল আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী গণমাধ্যমের ভূমিকা ও রাজনীতি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. মো: গোলাম রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন ইনচার্জ আমানুর রহমান রাকাত এবং বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সভাপতি জাবিদ হাসান ফাহিম প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফা জব্বার উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম সবচেয়ে স্বাধীন। তিনি বলেন, মূল ধারার গণমাধ্যমের বাইরে বর্তমানে অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক গণমাধ্যম বিশাল সাম্রাজ্য তৈরি করেছে। মন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা , জাতীয় চার নেতাকে জেল খানায় হত্যা করা কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ আগস্টসহ ২১বার হত্যা চেষ্টা করা বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়।

এটি বাংলাদেশকে ধ্বংস করার দেশি বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্র। যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর থেকেও বঙ্গবন্ধু দেশের জিডিপি ৭দশমিক ৫ ভাগে উন্নীত করেছিলেন। কুচক্তি মহল উপলব্ধি করেছিলো যে জাতির পিতাকে হত্যা না করলে বাংলাদেশের বিকাশ রুদ্ধ করা যাবেনা। আর বঙ্গবন্ধুর খুনি কে, তা মাজেদের জবানবন্দিতে স্পষ্ট হয়েছে। কে পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন তা জাতির কাছে পরিস্কার হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই জাতির পিতার লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে। উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের রূপান্তরের জন্য ২০ বছরের দরকার নেই। আমরা ২০৪১ সালের আগেই জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবো। ২০০৮ সালেও দেশে আট জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার হতো এবং ব্যবহারকারী ছিল মাত্র আট লাখ। দেশে আজ ২১শত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং দেশে ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।