‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার

ঢাকা, ১১ ভাদ্র (২৬ আগস্ট) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরিকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান প্রধান অতিথি হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ এর উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বাঙালির জন্য আজীবন ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন বলেই আজ আপনি-আমি সকলে এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধু আকাশের মতো উদার হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকীর এ মাসে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, জাতির পিতা শুধু দেশীয় বিপদগামী কিছু সেনা আর কিছু বেঈমানের ষড়যন্ত্রের শিকার হননি, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সবাই মিলে যে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে, সকলকে সজাগ থাকতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সকলকে অবদান রাখতে হবে। আজকে সকলকে দৃঢ়ভাবে শপথ নিতে হবে সবধরনের ষড়যন্ত্র ভেদ করে শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে। প্রতিমন্ত্রী প্রতি কর্ম দিবসে সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পযর্ন্ত লাইব্রেরি খোলা রাখার নির্দেশ দেন।
‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় শ্রমসচিব মোঃ এহছানে এলাহী ১৫ আগস্ট সকল শহিদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। সচিব মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তাকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং কারাগারের রোজনামচা পড়ার আহব্বান জানান। তিনি বলেন, জাতির পিতার জীবনী পড়লে আপনারা জানতে পারবেন বঙ্গবন্ধু সারা জীবন কত কষ্ট করেছেন। কত ত্যাগ স্বীকার করে এ জাতির মুক্তি এনে দিয়েছেন। তিনি ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে নিমর্ম এবং নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রেজাউল হক, সাকিউন নাহার বেগম, ড. সেলিনা আকতার এবং যুগ্ম সচিবগণসহ মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী সকল শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।