বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী সত্তা—মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ৪ চৈত্র (১৮ মার্চ) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী সত্তা। বঙ্গবন্ধুর মতো কীর্তিমানের কখনো মৃত্য হয় না। তিনি মৃত্যঞ্জয়ী। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক, আর একজন পরিপূর্ণ বাঙালি।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি’তে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফেরদৌসি শাহরিয়ার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সমকালীন ইতিহাসের কালজয়ী মহামানব। যার পুরো জীবন ছিল মানুষের মুক্তির দর্শনসংবলিত। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে একটি জাতিকে মুক্ত করা এবং বাংলা ভাষাভাষী সব মানুষকে জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত করে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে জাগ্রত করে তোলা ছিল তাঁর জীবনের লক্ষ্য। এ ধারাবাহিকতায় তিনি বাঙালি জাতির পিতা হয়েছেন।
শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর সত্তা ও আদর্শের শিক্ষা দিতে হবে। তাদের জানাতে হবে বঙ্গবন্ধুর মানসিকতা কী ছিল, তাঁর দেশপ্রেম কেমন ছিল, তাঁর অসাম্প্রদায়িকতা কেমন ছিল। বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করে অস্তিত্বের শেকড়ে ফিরে যেতে হবে। একজন বঙ্গবন্ধু মানে সকল পথ-পন্থার নির্দেশক। বঙ্গবন্ধুর জন্মতিথিতে তাই মানুষের কল্যাণে আত্মোৎসর্গের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
মন্ত্রী আরো যোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরসূরি শেখ হাসিনার মাঝে তাঁর রাজনৈতিক দর্শন প্রতিফলিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি দেখি শেখ হাসিনার মাঝে। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বপরিমণ্ডলে বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের কণ্ঠস্বর আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজ বলা হয় দুর্গতদের কণ্ঠস্বর। একজন জাতিকে মুক্ত করে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়েছেন, আর তাঁর উত্তরসূরি শেখ হাসিনা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দিয়ে যাচ্ছেন।