প্রধান মেনু

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছে — মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। তবে বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা গর্ব করতে পারি যে ঘাতকদের এ অভিপ্রায় সফল হয়নি, ঘাতকরা বাংলাদেশকে হত্যা করতে পারেনি।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ওয়েবিনারে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহিরুল হক, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. শাহাজাহান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহাদাৎ হোসেন ও সেলিমা সুলতানা, যুগ্ন-সচিব মোঃ জেহসান ইসলাম, বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ রফিকুল মতিন এবং ডট মহাপরিচালক মহসীনুল আলম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা – কর্মচারীবৃন্দ সরাসরি ও অন-লাইনে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।মোস্তাফা জব্বার ১৯৪৭ সালের পর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনের ধারাবাহিকতা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর সুপরিকল্পিত চিন্তাধারায় ২৩ বছরের কঠিন পথ অতিক্রম করেছেন। তিনি স্বাধীনতা অর্জনে জনযুদ্ধ কৌশল প্রয়োগ করেছিলেন।

এই সুদূরপ্রসারী কৌশলের ফলে শক্তিশালী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অস্ত্রের সামনে প্রায় খালি হাতে এবং বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে রেখে যে যুদ্ধটা বাংলার মানুষ করেছে পৃথিবীর কোনো দেশ তা পারেনি। গণযুদ্ধের জন্য গণজাগরণ হয়েছে ইতিহাসে এটা অন্য কোথাও নেই।একাত্তরের রণাঙ্গণের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, বাংলার মায়েরা বঙ্গবন্ধুর জন্য রোজা রেখেছেন, দোয়া করেছেন।

এটাই ছিলো বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা অর্জনের লড়াইয়ের বড় অর্জন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ কোথায় যাবে এ বিষয়ক রূপরেখা জাতির পিতা শুধু প্রস্তুতই করেননি, বাস্তবায়নও শুরু করেছিলেন।মন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা পঁচাত্তর পরবর্তী ২১ বছর বাংলাদেশকে পেছনে টেনেও সুবিধা করতে পারেনি কারণ বঙ্গবন্ধু তাঁর সুযোগ্য সন্তান রেখে গেছেন।দীর্ঘ ২১ বছরের পশ্চাদপদতার জঞ্জাল সরিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ১৬ বছরের শাসনে দেশকে হেনরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ির তাচ্ছিল্যের জবাব দিয়েছেন।

বাংলাদেশকে তিনি শতশত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বে জায়গায় উপনীত করেছেন। করোনাকালেও বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি যেখানে নাজুক অবস্থায় সেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। সারা বিশ্বে করোনায় থমকে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা।

ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নেতৃত্বের দূরদর্শীতার ফলে আমাদের জীবন যাত্রা উন্নত দুনিয়ার মানুষদের চেয়ে পিছিয়ে নেই।তিনি দুর্যোগকালে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা সচল রাখতে নিরলস প্রচেষ্টার জন্য টেলিকম বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকলকে ধন্যবাদ জানান।মোঃ নূর- উর -রহমান বলেন, জাতির পিতার নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়ন করাই হবে আমাদের লক্ষ্য। ঘাতকতারা আমাদের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে চেয়েছিলো, থামাতে পারে নাই। বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের বিস্ময়।