প্রধান মেনু

বগুড়ায় যানবাহনের নকল কাগজপত্র সহ জালিয়াতি চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যানবাহনের নকল রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, ট্র্যাক্স টোকেন ও ট্রাফিক পুলিশের জাল কেস সিলিপ এবং অন্যান্য নকল কাগজপত্র সহ জালিয়াতি চক্রের ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বগুড়ায় সদর থানা ফাঁড়ি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সন্ধায় বগুড়া শহরের সাতমাথা, বাদুরতলামোড়ের দেলোয়ার কম্পিউটার্স ও শাপলা সুপার মার্কেটের টুটল অফসেট প্রিন্টার্স প্রেস থেকে গ্রেফতারকৃতরা হলো- বগুড়ার কাহালু উপজেলার ডিপুইল গ্রামের আব্দুল মোত্তালিবের পুত্র দেলোয়ার হোসেন(২৪), সদরের বাঘোপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের পুত্র রতন প্রামানিক(৫০), শিবগঞ্জের সুদামপুর গ্রামের মৃত সমশের আলীর পুত্র আব্দুল বাসেদ(৫০), কাহালু উপজেলার আড়লা গ্রামের হযরত আলীর পুত্র শফিকুল(৫২) ও সদরের আশোকোলা গ্রামের মজিবর রহমানের পুত্র মোঃ আনোয়ার হোসেন সোহাগ(৪০)।

পুলিশ জানায়, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে শহরের বাদুরতলা ও শাপলা সুপার মার্কেট এলাকা সহ কয়েকটি স্থানে এই অভিযান চালানো হয়। এই জাল জালিয়াতি চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে ট্রাফিক পুলিশের জাল কেস সিলিপ বহি তৈরী করে নকল কাজপত্র (আসল হিসাবে) বিক্রির ব্যবসা করছিলো।

গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন জেলার বিআরটিএ অফিসের যানবাহন সংক্রান্ত নকল কাগজপত্র, এমনকি কয়েকটি জেলার জাল কাগজ যেমন-নীলফামারী জেলার ট্রাফিক পুলিশের মোটরযান আইনের প্রশিকিউশন বইয়ের পাতা ৪৫টি, মাদারীপুর জেলার ট্রাফিক পুলিশের মোটরযান আইনের প্রশিকিউশন বইয়ের পাতা ১০টি, গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশনের সনদ পত্র ৪টি, ফিটনেস সনদপত্র ১৫টি, ট্যাক্স টোকেন ৩টি, পূরবী জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিঃ এর মানি রিসিপ ৮০টি, পূরবী জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিঃ এর ইন্সুরেন্স সনদপত্র ৪৫টি, পাঁচ টাকা মূল্যের বীমা স্ট্যাম্প ১৮০টি। চারটি গোল সিল পাওয়া যায়, যার একটিতে সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার বিআরটিএ সিরাজগঞ্জ, মোটর যান পরিদর্শকের কার্যালয় বিআরটিএ সিরাজগঞ্জ ও ইংরেজিতে ৩টি লম্বা সীল যার একটিতে মোঃ আব্দুল খালেক সরকার টিএসআই বিপি নং ৬৯৮৭০৭১৪১৪ নীলফামারী ট্রাফিক, নীলফামারী এবং একটিতে গাড়ীতে রাখুন অপরটিতে বাড়ীতে রাখুন লেখা আছে।

এছাড়া একটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক উদ্ধার করেছে পুলিশ। বগুড়া সদর থানার ওসি বদিউজ্জামান জানান, বগুড়ায় এসব তৈরী করে দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি জালিয়াতির কারবার চালিয়ে আসছিলো।