প্রধান মেনু

বগুড়ায় মোটাতাজাকরণের ঔষধ খাইয়ে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শরীর মোটাতাজাকরণের ঔষধ খাইয়ে রতনা খাতুন (১৪) নামে এক বালিকা বধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী শাহাদত হোসেনের বিরুদ্ধে। নিহত রতনা খাতুন উপজেলার চরনাটাবাড়ি গ্রামের গাজিউর রহমানের মেয়ে। বুধবার সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে শাহাদত হোসেন (২২) নামে ট্রাকচালক স্বামীকে বুধবার সকাল ৯টার দিকে আটক করেছে পুলিশ। শাহাদত হোসেন শেরপুর উপজেলার মহিপুর জামতলা এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার মহিপুর জামতলা এলাকার ট্রাকচালক শাহাদত হোসেনের সাথে প্রায় ৩ বছর আগে ধুনট উপজেলার চরনাটাবাড়ি গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রতনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের একবছর পর তাদের এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। অল্পবয়সে বিয়ে ও সন্তান প্রসবের কারণে রতনা খাতুনের শরীর ভগ্নদশায় পরিণত হয়। এতে দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীকে শারীরিকভাবে মোটা করার ওষুধ সেবনে বাধ্য করেন স্বামী।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার শেরপুর শহরের এক ফার্মেসি থেকে স্ত্রীকে মোটাতাজা ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার হারবাল জাতীয় ওষুধ (ট্যাবলেট) কিনে দেয় স্বামী। রতনা খাতুন স্বামীর কিনে দেওয়া ওষুধ নিয়ে মায়ের সাথে নন্দিগ্রামের মুরাদপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে একটি ট্যাবলেট সেবনের পর রতনা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই রাত ৩টার দিকে রতনা খাতুন শেরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চরনাটাবাড়ি গ্রামে বাবার বাড়ির দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে বুধবার সকাল ৬টায় ধুনট শহর এলাকায় রতনা খাতুন মারা যায়।

এ বিষয়ে শাহাদত হোসেন বলেন, সন্তান প্রসবের পর রতনা খাতুন শারীরিকভাবে রুগ্ন ও দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই স্থানীয় এক হাতুড়ে চিকিৎসকের পরামর্শে শরীর মোটাতাজাকরণের ওষুধ কিনে দিয়েছি। তবে ওই ওষুধ সেবন করে রতনা মারা গেছে কি-না জানা নেই। ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। রতনার মৃতদেহ বাবার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে শাহাদত হোসেনকে  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।