মুনজুর কাজী (বগুড়া প্রতিনিধি): উপজেলা নির্বাচনের জের ধরে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে পরাজিত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে মঙ্গলবার হামলা, মারপিট ও ভাংচুর করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ২টি বিদেশি পিস্তল । পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, সোমবার আদমদীঘিতে উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্বিতা করেন মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী। এ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজয়ী প্রার্থী মাহমুদুর রহমান পিন্টুর পক্ষে কাজ করা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী রেলগেট চত্বরে পরাজিত প্রার্থী আনছার আলীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মারুফ হাসান রবিনকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা বলে। এনিয়ে দুই পক্ষে প্রথমে বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়।

এর কিছুক্ষন পর রবিন পোষ্ট অফিস মোড়ে মশিউর রহমান সজল গ্রুপের শাকিল হোসেন নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান সজলের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ নেতা ও কর্মী মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রী মুন্নি বেগমকে মারপিট ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় মামলা হলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আদমদীঘি থানা সার্কেল আলমগীর রহমানের নেতৃত্বে আসামী গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মশিউর রহমান সজল ও ছাত্রলীগ কর্মী একরামুল হক শুভকে গ্রেফতার করে। পরে শুভ’র দেয়া তথ্যে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টায় সজলের বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দ্রুত বিচার ও অস্ত্র আইনে পৃথক পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।