প্রধান মেনু

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া-তালোড়া সড়কের বেহাল দশা: চরম দূর্ভোগে এলাকাবাসী

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দক্ষিণে বন্দর নগর তালোড়া পৌরসভা অবস্থিত। দুপচাঁচিয়া- তালোড়া ভায়া কুন্দুগ্রাম হয়ে নওগাঁর রানীনগর, দুপচাঁচিয়া-তালোড়া ভায়া নন্দীগ্রাম ওমরপুর ও আরেকটি সড়ক তালোড়া থেকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে আলতাফনগর হয়ে নরশৎপুরের উপর দিয়ে আদমদিঘী উপজেলায় মিশেছে। দুপচাঁচিয়া সদরের সাথে তালোড়ার যোগাযোগের একমাত্র এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও লোক চলাচল করে।

বন্দরনগরী তালোড়ায় পূর্বে থেকেই ছোট ছোট শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছিল, বর্তমানে বেশ কিছু অটোরাইস মিল, ময়দা মিল, পেপার মিল, জুট মিল, প্রায় ত্রিশটির অধিক এল্যুমিনিয়াম ফ্যাক্টরী, শতাধিক ধানের চাতাল, সরকারী খাদ্য গুদাম, সরকারী কলেজ, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, সরকারী বেসরকারী ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ফলে দুপচাঁচিয়া-তালোড়া সড়কটি গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করছে। উপজেলার প্রাচীনতম বন্দরনগরীর সাথে যোগাযোগের একমাত্র এই সড়কের বর্তমানে বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। প্রায় ১০ বছরেও এ রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বর্তমানে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারীদের।

উপজেলার একমাত্র সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রাইভেট ক্লিনিক, থানা প্রশাসন অফিস, উপজেলা পরিষদসহ সকল অফিস আদালত দুপচাঁচিয়ায়, ফলে তালোড়া এলাকাবাসীকে প্রতিনিয়ত এই খানা খন্দে ভরা রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। দুপচাঁচিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় এই অচল প্রায় সড়ক দিয়েই মূমুর্ষ ও অসুস্থ্য রোগী নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়াও শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত এলাকার বিভিন্ন শস্য নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনও চলাচল করে থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তা সংলগ্ন পানি নিষ্কাষনের ড্রেন থাকলেও তা ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে সেই পানি সড়কের উপর এসে পড়েছে। সড়কের ময়লা পানি কাদায় ছাত্রছাত্রী ও পথচারীদের পোশাক নষ্ট হওয়া সহ প্রায়ই ছোট ছোট দূর্ঘটনা ঘটছে। তালোড়া রেলঘুমটি হতে দুপচাঁচিয়া পর্যন্ত রাস্তার মাঝে মাঝে কিছুটা ভাল থাকলেও বেশিরভাগ স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি গর্তে জমে থাকায় বোঝায় উপায় নেই গর্তটি কতটা গভীর, ফলে বিভিন্ন স্থানে অটোরিকশা, সিএনজি চালিত ইজিবাইক, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন গর্তে আটকে পড়ে আছে।

তালোড়া পৌর মেয়র আমিরুল ইসলাম বকুল বলেন, পৌরসভা এলাকার কিছু জায়গায় ইট, খোয়া, রাবিশ দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করে চলাচল উপযোগী করার চেষ্টা করা হয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় এ রাস্তাটির জন্য ১,শ ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দসহ টেন্ডার হয়েছে। বর্ষার জন্য বিটুমিনের কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না তবে আশা করছি নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। এলাকাবাসীর দাবী রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হউক।