বগুড়ার তালোড়ায় সবর্ত্র জনসমাগম স্বাস্থ্য বিধির বালাই নেই

মুনজুর কাজী, বগুড়া প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হলেও বগুড়া জেলার তালোড়ায় উল্টো বেড়েছে জনসমাগম স্বাস্থ্য বিধি মানার বালাই নেই। দেশে করোনা সংক্রমন শুরু হওয়ার পর প্রথম দিকে অনেকে মেনে চললেও বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধিকে পাত্তা দিচ্ছে না। গণপরিবহন চালু ও অফিস আদালত খোলার ঘোষনা আসার পর থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে এলাকার সর্বত্র। অবাধে চলছে চলাফেরা।
তালোড়া পৌরসভার প্রধান প্রধান রাস্তা, বাজারের চারমাথা, তিনমাথা, রেলগুমটি এবং কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় যেসব দোকানপাট বন্ধ ছিল তা প্রায় সব খোলা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে চা, পান, সিগারেটের দোকান থেকে শুরু করে প্রায় সব দোকানপাট খোলা হলেও কোথাও স্বাস্থ্য বিধির বালাই নেই। হঠাত ২/১ একজনের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও অধিকাংশ লোকই মাস্কবিহীনভাবে চলাফেরা করছে।। সবখানে স্বাস্থ্য বিধি মানার ক্ষেত্রে হ-য-ব-র-ল অবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে জনগোষ্ঠি। দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতা মাস্ক ব্যবহার ছাড়াই দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বেচাকেনা, শারীরিক দূরত্ব বলতে কিছুই নেই তাদের মধ্যে।
অটোরিক্সায় সর্বোচ্চ চারজনের বেশি যাত্রী নেয়া নিষেধ থাকলেও দেখা গেছে ৬জন পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এছাড়াও এখান থেকে বাইরের উপজেলায় গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে অটোরিক্সা চালকদের যেতে দেখা যায়। ব্যাটারীচালিত ছোট ছোট যানবাহনগুলোতে একইসাথে গাদাগাদি ঠাসাঠাসি করে মাস্ক ছাড়াই যাত্রী পরিবহন চলছে। বগুড়া সদরে দিন দিন করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সিএনজিচালিত অটোরিক্সা অবাধে যাতায়াত করছে যাত্রী নিয়ে। বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তালোড়া রেলগুমটি ও স্টেশন এলাকায় রেল লাইনের উপর কোথাও দলবেধে কোথাও আবার গোল হয়ে ১০/১৫জনকে খোশগল্পে মেতে থাকতে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে কোনও সচেতনতা তাদের মাঝে দেখা যায় নি।
স্বাস্থ্যবিধি আইন ভঙ্গের দন্ড ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অথবা ৬ মাসের সাজাকে যেন কেউ পরোয়া করছে না কেউ। গত ৩ জুন পর্যন্ত বগুড়ায় ৪৭৫জন, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ১৩জন ও তালোড়ায় ২ জন করোনা পজেটিভ রোগী সনাক্ত হলেও সরকারী স্বাস্থ্যবিধি নিদের্শনার প্রতি এলাকার মানুষের উদাসীনতার ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ না হয়ে বরং সামাজিক সংক্রমণ বাড়বে বলে দাবি করছেন অনেকে ।