ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২০’ উপলক্ষ্যে আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কমচারীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। অগ্নিনির্বাপণ, অগ্নিপ্রতিরোধ, উদ্ধার ও অন্যান্য সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিতকরণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশব্যাপী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ পালনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালনকালে নিহত ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
অগ্নিনির্বাপণ, আহতদের সেবা প্রদান, মুমূর্ষু রোগী পরিবহন এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ যে-কোনো মানবসৃষ্ট দুর্যোগে জনজীবনের নিরাপত্তা বিধানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রথম সাড়াদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হিসেবে সবসময় জনগণের পাশে এসে দাঁড়ান। তাদের উপস্থিতি আহত ও দুর্ঘটনায় আটকে পড়া মানুষকে বাঁচার সাহস যোগায়। শিল্পায়ন ও নগরায়নের ব্যাপকতার ফলে দেশে দুর্ঘটনার হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন দুর্যোগে উদ্ধারকাজ পরিচালনায় দেখা দিচ্ছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ ও উন্নত প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। সরকার এ লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমি আশা করি।
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বজ্রপাত ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বজ্রপাত ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন আয়োজন জনগণের সাথে এ বিভাগের কর্মীদের ঘনিষ্ঠতা ও পারস্পরিক যোগাযোগ আরও বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ – ২০২০’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচি সফল হোক – এ কামনা করি। জয় বাংলা। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”