প্রধান মেনু

ফরিদপুর ৫০০ বেড মেডিকেল হাসপাতালে নার্সের অবহেলায় নবজাত শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ 

মোঃ মাহফুজুর রহমান বিপ্লব, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ  ফরিদপুর ৫০০ বেড সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সের অবহেলায় নবজাতক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ পরিবারের।শিশুটির বাড়ি ফরিদপুর সদর কৈজুরী ইউনিয়ন পিয়ারপুর গ্রামে, পিতা, কানাই সরকার (৩০) মাতা, চম্পা সরকার (২৩), সাত দিনের নবজাতাক শিশু বাচ্ছাটি হাসপাতালের সিনিয়র নার্স রুবিয়া বেগমের গাফলতিতে মারা গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
 
পরিবার সূত্রে জানা জানা যায়, জন্মের পরে ওজন কম  থাকায় গত ২৫/০৭/২০১৯ইং তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটি কে দেখা মাত্র ভর্তি নিয়ে নেয় ডাক্তার।
 
হাসপাতালে চিকিৎসা চলায় মোটামুটি সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি, কিন্তু রবিবার নার্স রুবিয়া বেগমের সাথে অবিভাবকদের রোগী দেখা নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় নার্স রুবিয়া বেগম রোগীর অবিভাবকদের সাথে বাজে ব্যাবহার করে এবং নানা ভাবে শাসাতে থাকে, এক পর্যায়ে শিশুটির চিকিৎসারত জায়গা থেকে  অবিভাবক সহ শিশুটিকে  বের করে দেয়া হয়। পরবর্তিতে শিশুটির চিকিৎসার বেঘাত ঘটনায় শিশুটি গত ৩১/০৭/২০১৯ইং তারিখ বুধবার দুপুরে  মারা যায় বলে জানায়।
 
এই ঘটনার বিষয়ে শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত ইনচার্জ  শিল্পি আক্তার বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম আমার জায়গায় দায়িত্বরত ছিলেন রুবিয়া বেগম, আমি এসে শিশুটি কে দেখি শিশুটি জন্ম নেয়ার পরে না কাঁদায় মাথায়  অক্সিজেন ডুকে না তার কারণে  মাথার ব্রেনে সমস্য দেখা যায়।
 
এই বিষয়ে দায়িত্বরত নার্স রুবিয়া বেগম বলেন, আমি শিশুটি কে বের করে দেয় নাই, আমি শিশুটি কে ফটোথেরাপি দেয়ার জন্য বাইরে বের করে নিয়ে আসি, আর রোগীর অবিভাবকদের সাথে আমার কোন ঝামেলা হয় নাই, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পেয়েছে তা সব মিথ্যা।
 
শিশুটি দায়িত্বরত ডাক্তার আবু ফয়সাল মোহাম্মদ পারভেজ সাংবাদিকের বলেন, শিশুটি সমস্যা ছিল জন্মের পরে ওজন কম থাকায়, তার পরে ও শিশুটি মোটামুটি ভাল ছিল, কিন্তুু গত ৩০/০৭/২০১৯ইং তারিখে শিশুটি ইনফেকশন দেখা যায় ও জন্ডিস ধরা পরে।
 
নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শিশুটির অবিভাকরা বলেন, ডাক্তার  আমার বাচ্ছাটি কে সুস্থ করে তুলে ছিল কিন্তু নার্সের সাথে আমাদের ঝগড়া হওয়ায়, তিনি আমার বাচ্ছাকে ঠিকমত সেবা দেয় নাই, নার্সদের সাথে রোগীর অবিভাবকদের কেউ ভালমত কথা বলতে পারে নাই। তাদের ডাকলে ও তারা আসে নাই, তারা সর্বদা মোবাইল নিয়ে ব্যস্থ থাকত, আমরা সাতদিন হাসপাতালে ছিলাম এরই মধ্যে  ১১জন শিশু বাচ্ছা মারা যায়। জানি না কতজন বাচ্ছা এই রকম অবহেলায় নার্সের হিংসার বলি হয়ে মারা গেছে। তারা এই নার্সের বিচার দাবি করেন।