প্রধান মেনু

ফরিদপুরে মা ও ছেলে নিখোঁজ

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুর শহর কৈজরী ইউনিয়নের পিয়ারপুর গ্রামের  সোনা মল্লিককের মেয়ে সুমি আক্তার (১৮) গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার সময় বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছে বলে দাবি করেন সুমির আত্মীয় স্বজনরা। সরেজমিনে যেয়ে জানা যায়,গত দুই বছর হয়েছে ফরিদপুর সদর চাঁদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম আজলবেড়া গ্রামের শহীদ মোল্লার বড় ছেলে রাসেল মোল্লা (২৬) এর সাথে বিবাহ হয়, সুমির এরি মধ্যে  তাদের ৯ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
বউ ছেলেকে হারিয়ে দিশে হারা বাবা রাসেল,  সুমির  স্বামী রাসেল মোল্লা বলেন, আমার বাড়ি থেকে  ১০,১১ দিন হলো বাপের বাড়িতে ডাক্তার দেখাতে যায় সুমি, আমার সাথে বৃহস্পতিবার  ভোর ৫ টার সময় মোবাইলে কথা হয়,আমাকে বলে সকালে আমি আসবো। আমি মোবাইলে  ১০টার দিকে যোগাযোগ করতে গেলে ফোনটি বন্ধ পাই, পরে আমি বিকালে আমার শ্বাশুড়ির কাছে ফোন দিলে তিনি জানায়, সুমি তো সকালে ৮টার সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। আমি শ্বাশুড়ি কে বলি সুমি তো বাড়ি আসে নাই।
শ্বাশুড়ির মুখে এই কথা শুনার সাথে সাথে আমি আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি যোগাযোগ করলে কোথাও কোন খোঁজ পাইনি। বিকাল ৩.৩০মিনিটে আমার বউয়ের মোবাইল নাম্বার (০১৮৭১৫০৯৪৯৩)  থেকে আমার মোবাইলে দুইটি ম্যাসেজ আসে, ম্যাসেজে লেখা, (তোদের ক্ষতি না করতে পেরে তোর বউ বাচ্চাকে ধরে নিয়ে গেলাম)। পরে আমি এই ঘটনা সবাই কে জানাই।
এই বিষয় সুমির মা মনোয়ারা বেগম বলেন, সকাল ৮ টায় সুমি আমাকে বলে মা আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কানাইনপুর বাজারে মার্কেট করতে এসেছে, আমাকে যেতে বলছে আমি যাবো, মেয়ের মুখের কথা শুনে আমি যেতে দেই।  আমার জামাই যখন বলে সুমি তাদের বাড়ি যায় নাই, তখন আমি জামাইকে রাগ করি, পরে আমি খোঁজা খুজি করে কোন সন্ধান না পেয়ে ফরিদপুর কোতায়ালী থানায় সাধারন ডায়রী করি। যার জি,ডি নং ৭৯৩।তারিখ ১১/৪/২০১৯ইং।
তিনি আরো বলেন,  আমার মেয়ের নাম্বারে আমি বিভিন্ন নাম্বার থেকে ফোন দিয়েছি কিন্তুু কেই ফোন ধরেনা, মাঝে মাঝে ফোন বন্ধ করে রাখে আবার ফোন খোলে। আজ শুক্রবার সন্ধায় আমার মেয়ে আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে শুধু বলে মা আমাকে একটি বিল্ডিংয়ের মধ্যে  আটকে রেখেছে কোথায় রেখেছে আমি জানি না। আমার মোবাইল একটি মহিলার কাছে অনেক কান্নাকাটি  করে মোবাইল নিয়েছি, আমাকে বাঁচাও মা।