প্রধান মেনু

ফরিদপুরের মধুখালীতে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মধুপুর গ্রামের শাহজাহান ভূইয়ার স্ত্রী ফুলবানুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় ২০ আগষ্ট দিবাগত রাত আটটার দিকে ফুলবানুর পেটের ভিতর ব্যথ্যা অনুভাব হলে তার পরিবারের সদস্যরা মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ কবির সরদার তাকে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। ফলে কয়েক ঘন্টা পর ফুলবানুর অবস্তা আশংকা জনক নই বলে তাকে ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশনে রেফার করেন। এদিকে রাত দশটার দিকে তাকে ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে আসলে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডেই তিনি মারা যান।

এবিষয়ে ফুলবানুর ছেলে বিল্লাল হোসেন ও তার ভাতিজা সোহেল সহ সাংবাদিকদের কে বলেন, যে তারা যখন মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন, পেটে ব্যথার কারণে। তবে ডাক্তার কবির সরদার আমার মাকে ভর্তি করার সাথে সাথেই দুইটা স্যালাইন দেন,তার কিছুক্ষণ পরেই আমার মায়ের অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তাকে। ডাক্তার কোবির সরদার দ্রুত ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশনে রেফার করেন।

হার্ট ফাউন্ডেশন এর রেফার করেন, দ্রুত আমার মাকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে আসি।কর্তব্যরত চিকিৎসক অভি বলেন যে, আপনারা আগে কোথায় তাকে দেখিয়ে ছিলেন। সেখান থেকেই ফুলবানুর শরীরে ভুল স্যালাইন দেয়া হয়েছে। এখন আমাদের কিছুই করার নেই, আপনারা উপর আল্লাহকে ডাকেন। তার কয়েক মিনিট পরে আমার মা শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এবিষয়ে বিল্লাল হোসেন আরও বলেন,ডাক্তার কোবির সরদার আমার মাকে ভর্তি করার দুই ঘন্টার ভিতরে কিভাবে দুইটি স্যালাইন তার শরীরে দিয়েছে। দ্রুত স্যালাইন শরীরে দেওয়ার করনে আমার মায়ের হার্ট ব্লক হয়ে মারা যায়।

এ বিষয়ে মুঠোফোনের মাধ্যমে ডাক্তার অভির সাথে যোগাযোগ করলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় মোটা টাকার বিনিময়ে ডাক্তার কবির সরদার বিষয়টি রাতেই ধামাচাপা দেন। এছাড়াও ডাক্তার কবির সরদার আবাসিক ডাক্তার হয়েও রোগী প্রতি 200 থেকে 300 টাকা ভিজিট নেন। মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর ভিতরে প্রবেশ করলেই দেখা যায় দালালদের মহড়া, এই দালালদের খপ্পরে পড়েই প্রতিদিন নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণমানুষ।

এমনকি কোবির সরদার যখন রোগী দেখায় ব্যস্ত থাকেন, তখন একাকজন দালাল সদস্যরাই সব ধরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে জানা যায় কয়েকজন প্রভাবশালী মহল কে ম্যানেজ করেই দীর্ঘ সময় ধরে তার কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কারণেই সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরাও তার ভয়ে কেউ কিছুই বলেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন ডাক্তার সদস্যরা জানান। এই হাসপাতালের ভিতরে দালাল সদস্যদের কারনেই হাসপাতালটি মাদকের আখড়া হিসাবে পরিচিত হয়েছে। এরপরেও তিনি বিভিন্ন সময়ে নিম্ন কোম্পানি ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখে তাদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকেন।

এবিষয়ে ডাক্তার কবির সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফুলবানুকে আমার হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকি এর পর তার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে আমরা ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশনে রেফার করি।তবে রাত একটার দিকে শুনতে পায় যে ফুলবানু মারা গিয়েছে। এবিষয়ে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোনটি ধরেন নি।