প্রধান মেনু

ফরিদপুরেও নিষিদ্ধ হচ্ছে ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশা

মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লব, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ যানজট নিরসনে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফরিদপুরে ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ হচ্ছে। ডিসি অতুল সরকারের সভাপতিত্বে জেলা আইনশৃংখলা সমন্বয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরপর থেকে কয়েকদিন ধরে মাইকিংও করা হচ্ছে।
ফরিদপুর পৌরসভার সূত্রানুযায়ী, প্রায় পাঁচ হাজার অটোরিকশা শহরতলী থেকে এসে এই শহরে চলাচল করে। ফলে ছুটিরদিন ছাড়া প্রতিদিনই প্রধান সড়কসহ পাড়া মহল্লায় ভয়াবহ যানজট হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই ভাগে তিন হাজার অটোরিকশার লাইসেন্স দেয়া হবে। এরমধ্যে দেড় হাজার ‘এ’ সিরিজের এবং বাকি দেড় হাজার ‘বি’ সিরিজের। একেকদিন একেক সিরিজের অটোরিকশা চলবে। আর ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।
কয়েকজন অটোচালক জানান, প্রায় তিন হাজার ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশা প্রতিদিন শহরে চলাচল করে। একেকটি রিকশার উপর একেকটি পরিবার নির্ভরশীল। এসব রিকশা না চললে ওইসব পরিবারের জীবিকা বন্ধ হয়ে যাবে।
ফরিদপুর ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশা চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছহের ব্যাপারি বলেন, প্যাডেলের রিকশার চেয়ে ইঞ্জিনের রিকশা অনেক ভারি করে বানানো। ব্যাটারি খুলে ফেললে এই রিকশা পা দিয়ে চালানো যায় না। অনেকে ধার-দেনা করে, সম্পদ বিক্রি করে উপার্জনের অবলম্বন হিসেবে এসব রিক্সা কিনেছে। শুধুমাত্র এসব রিকশাই যে যানজটের কারণ তা নয়। আমরা এ নিয়ে প্রয়োজনে আমাদের এমপি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কথা বলবো।
তবে ফরিদপুর অটোচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদ মোল্লা লাইসেন্স প্রদানের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অটোরিকশাগুলোকে লাইসেন্স প্রদান করা হলে এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
পথযাত্রীরা এই ব্যাপারে বলেন, এভাবে ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হলে অনেকে বেকার হয়ে যাবে। তাতে চুরি, ডাকাতি ও অন্যান্য অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। সুশাসনের অভাবেই শহরে যানজট হচ্ছে। সড়কে যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং ও ফুটপাত দখল করে দোকান বসানো এবং নির্মাণ সামগ্রী ফেলে সড়ক সংকোচন করে রাখা হয়। ১৮ বছরের নিচে অনেকে ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশা চালাচ্ছে।
ফরিদপুরের পৌরমেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু বলেন, জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভার মাধ্যমে আমার উপর যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা যে কোনো মূল্যে পালন করবো। এখানে পিছপা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, ফরিদপুর পৌরসভায় ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশার সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় শহরটি যানজটের কবলে পড়েছে। পৌরমেয়র হিসেবে এ অবস্থা আমার পক্ষে মেনে নেয়া কষ্টকর।