ফণী মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ কমিটির জরুরি মিটিং
ডেস্ক রিপোর্টঃ ফণী মোকাবেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ কেন্দ্রীয় উপ কমিটি ঘূর্ণিঝড় ” ফণী ” মোকাবিলায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। দলের পক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। প্রধান অতিথির আলোচনা নানক বলেন, সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দূর্যোগ প্রবন এলাকা গুলোর জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে ফোনে কথা বলে তাদেরকে জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দেন এবং দূর্যোগ উপকরণ নিয়ে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।
এ সময় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সি ও সদস্য সচিব সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা ও জননেতা সুজিত রায় নন্দীসহ ও কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।এবং সকলকে দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ঘূর্ণিঝড় ফণী আয়তনে বাংলাদেশের আয়তনের চেয়েও ২ লক্ষ বর্গকিলোমিটার বড়। আঘাত হানলে সিডরের চেয়েও অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এটি একই জায়গায় বিগত ৫ দিন ধরে অবস্থান করে আরো শক্তিশালী হচ্ছে এবং ঘুর্নিঝড় হ্যারিকেনে রূপ নিচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ছুটিতে থাকা সকল স্টাফদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের সকলকে সংকেত দেয়া মাত্রই আশ্রয়কেন্দ্র অবস্থান নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বর্ডার গার্ড, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশসহ সকলকে দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রবল শক্তি নিয়ে অগ্রসর হতে থাকা ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়া ট্যুডে এক প্রতিবেদনে বলছে, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে তীব্র বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দেশটির অপর সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে তীব্র হাওয়া এবং বৃষ্টির জেরে অন্ধ্রপ্রদেশের রাস্তার ধারে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন ।