প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর

সিলেট, ২২ মাঘ (৫ ফেব্রুয়ারি): প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ সিলেটের টিলাগড়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইনস্টিটিউট অভ্ লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (আইএলএসটি), সিলেট এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম ফেরদৌস আলম, যুগ্মসচিব ও মন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান, সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. অমলেন্দু ঘোষ, আইএলএসটি স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ডা. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ডা. মোঃ শরীফুল হক ও ডা. জসিম উদ্দিন, এবং সিলেট বিভাগে কর্মরত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। সারা দেশে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাওর অঞ্চলসহ দেশের যে অঞ্চলে যে জাতীয় সামগ্রী উৎপাদনের সুযোগ আছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের পরামর্শে সরকার সেখানে অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, সিলেট বাংলাদেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। সিলেটের উন্নয়নকে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইনস্টিটিউট অভ্ লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি করা হচ্ছে। এ ইনস্টিটিউট থেকে প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে। এটি সিলেটের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
পরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বুল স্টেশন স্থাপন কার্যক্রম, সরকারি ছাগল উন্নয়ন খামার এবং সিলেট জেলা দুগ্ধ খামার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সিলেটকে উন্নত করার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল দপ্তরের কার্যক্রমকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। এখানে গবাদিপশু উৎপাদন, ব্ল্যাকবেঙ্গল ছাগল উৎপাদন, দুগ্ধ উৎপাদন কীভাবে আরো বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরা চাই সিলেটের প্রাণিসম্পদ খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসুক।
সম্প্রতি গাজীপুর সাফারি পার্কে জেব্রা ও সিংহী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রাণীদের মধ্যে কঠিন রোগ সংক্রমিত হচ্ছে। জেব্রার মৃত্যু একটা রোগের কারণে হয়েছে। একইভাবে চিড়িয়াখানায় প্রাণী মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে আমরা সংগৃহীত নমুনা একাধিক ল্যাবে পরীক্ষা করেছি। সেক্ষেত্রে অবহেলার কারণে নয়, রোগ সংক্রমিত হয়ে প্রাণী মারা যাচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তারপরও প্রাণীর মৃত্যতে আমাদের কোনো ত্রুটি আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছি। পাশাপাশি অন্য প্রাণীদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা যায় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
পরে মন্ত্রী সিলেট সার্কিট হাউসে সিলেট বিভাগে কর্মরত মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন ও বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন।