প্রশিক্ষকদের অবশ্যই যুগোপযোগী পেশাগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে–কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব

ঢাকা, ২৮ চৈত্র (১১ এপ্রিল): কারিগরি শিক্ষার প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে উচ্চতর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিটিই) ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (বিটিইবি) দেশে মাস্টার প্রশিক্ষকদের জন্য প্রথমবারের মতো দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন (সিবিটিএন্ডএ) প্রশিক্ষণ (লেভেল-৫) আয়োজন করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহযোগিতায় এ কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর স্কিলস-২১ প্রকল্প।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একজন মাস্টার প্রশিক্ষকের অধীনে সারা দেশের ২৪ জন লেভেল-৪ প্রশিক্ষক ও মূল্যায়নকারী এতে অংশ নেন। রাজধানী ও এর আশপাশে বিভিন্ন ভেন্যুতে গত ১৪ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এই আবাসিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলে। অনলাইন ও অফলাইনে ৩০ দিনের এ কোর্সে অংশগ্রহণকারী সবাই কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং প্রশিক্ষক। আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল প্রশিক্ষণ পরবর্তী মূল্যায়ন শেষে তারা পরবর্তী এক বছর দেশের আরো ১৮০ জন শিক্ষক ও প্রশিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবেন। কারিগরি শিক্ষার্থীদের দক্ষতার মান বাড়াতে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে আরো মাস্টার প্রশিক্ষক তৈরি করবেন।
আজ ঢাকার টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজে প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেন বলেন, কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের জন্য সরকার গতানুগতিক ক্লাসরুমভিত্তিক শিক্ষণ ব্যবস্থাকে কর্মক্ষেত্র উপযোগী দক্ষতাভিত্তিক (সিবিটিএন্ডএ) পদ্ধতিতে রূপান্তরে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই লক্ষ্য পূরণে দরকার মানসম্পন্ন দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষাদানের মতো একটি কাঠামোগত প্রক্রিয়া।
কামাল হোসেন বলেন, কারিগরি শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের অবশ্যই যুগোপযোগী পেশাগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শুধু পাঠদান নয়, কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ উপকরণ তৈরি ও কার্যকর শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতেও তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলেই কারিগরি শিক্ষার্থীদের গুণগত মান ও পেশাদারিত্বের উন্নতি ঘটবে। শিক্ষার্থীরাও বুঝবে কারিগরি শিক্ষাই জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যম হতে পারে।