প্রধান মেনু

প্রযুক্তির মাধ্যমে সময়, অর্থব্যয় ও দুর্নীতি কমিয়ে আনা সম্ভব — আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ চৈত্র (২৯ মার্চ) : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, প্রশাসনিকসহ সকল কার্যক্রমে প্রযুক্তিকে যত বেশি ব্যবহার করা যাবে, তত বেশি সময়, অর্থব্যয় ও দুর্নীতি কমিয়ে সেবার মান বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ ভার্চুয়ালি আইসিটি বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ‘সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে আইসিটি প্রশিক্ষণ এবং অবকাঠামো স্থাপন’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় স্থাপিত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং (ডি-সেট) সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আইসিটি বিভাগ ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’, ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ ও ‘সমৃদ্ধি বাংলাদেশ’ -এই তিনটি বাতিঘর নিয়ে কাজ করছে। এগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেকটি গ্রামেই শহরের নাগরিক সেবা পৌঁছানো, তরুণদের প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং তরুণদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আইসিটি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে সবমিলিয়ে দেশে প্রায় ৮ হাজার কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরও ৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।

ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাবগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে শিক্ষার্থীরা যাতে দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং সরকারের শত-শত কোটি টাকা যেন বিফলে না যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি প্রতিমন্ত্রী আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, ইতোমধ্যেই দেশের ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫ হাজার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান এবং সাড়ে ৩ হাজার ভূমি অফিসসহ প্রায় ৪০ হাজার সরকারি দফতর মিলিয়ে এক লাখ ৯ হাজার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের অধীন আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি সক্ষম জাতি গড়ে তুলতে সারা দেশে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ৫৫৫টি ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। এছাড়া ডেনমার্ক সরকারের সহায়তায় চর-বিল-হাওরাঞ্চলেও ডি-সেট স্থাপন করা হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম ও প্রকল্প পরিচালক ফিরোজ সরকার।

পরে, প্রতিমন্ত্রী পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামের ছিটমহলে স্থাপিত থেকে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে ডি-সেট সেন্টারের উদ্বোধন করেন।