প্রধানমন্ত্রী সকল সংস্কৃতির সম্প্রদায়কে এক ছাতার নিচে ধরে রেখেছেন—-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

খাগড়াছড়ি, ১ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল): পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, আমার ভাষা, আমার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি আমার জন্য গৌরবের। আমরা আমাদের গৌরবান্বিত ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে চাই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল সংস্কৃতির সম্প্রদায়কে এক ছাতার নিচে ধরে রেখেছেন।
আজ খাগড়াছড়ি সদরে পানখাইয়া পাড়ায় মারমা উন্নয়ন সংসদের মাঠে কেন্দ্রীয় মারমা উন্নয়ন সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আলাদা আলাদা জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা আলাদা হতে পারে। কিন্তু দেশ আপনার, আমার, আমাদের সকলের। এই কষ্টার্জিত বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পাদনের ক্ষেত্রে যে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন আপনারা তা ইতোমধ্যেই লক্ষ্য করেছেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিটি জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায়ের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ এসব সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা-দীক্ষা ও কৃষ্টি সংস্কৃতির উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন একটি সোনার বাংলা বিনির্মাণের এবং এক ছাতার নিচে সকল জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় নিরাপদ ও শান্তিতে সহাবস্থান করবে। তিনি বলেন, আমরা সকল সংস্কৃতির মাঝে ঐক্যের বন্ধন নিশ্চিত করতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমি বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোতে বিজু নামকরণে উৎসব প্রচার হচ্ছে দেখেছি। বৈসাবি উৎসবের ত্রিপুরাদের বৈসু ও মারমাদের সাংগ্রাই উৎসবের কথা মিডিয়াতে তেমন প্রচার হতে দেখি না। পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের আলাদা আলাদা বৈচিত্র্যের সংস্কৃতি ও কৃষ্টি রয়েছে- এগুলোকে সংরক্ষণ ও যথাযথভাবে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। এর আগে মারমা তরুণ-তরুণি ও শিশু-কিশোররা আনন্দঘন পরিবেশে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে বর্ণিল শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
খাগড়াছড়ির মারমা উন্নয়ন সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মংপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলার ডিজিএফআই কমান্ডার কর্নেল আব্দুল্লাহ মোঃ আরিফ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা প্রসাশক মোঃ সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের নির্বাহী কর্মকর্তা কুষ্ণ কুমার চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।