প্রধান মেনু

প্রধানমন্ত্রীর ইশতেহার বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকে সাথে চাই — তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৮ জানুয়ারি) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ মহান কাজে দেশের সকল গণমাধ্যমকে সাথে চাই।’

সোমবার বঙ্গভবনে মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্প অর্পণ ও সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মিলিত হন নবনিযুক্ত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তথ্যসচিব আবদুল মালেক, প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত সচিব মোঃ আজহারুল হক ও মিজান উল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য মন্ত্রণালয়কে রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রের আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের পর চতুর্থ স্তম্ভ হলো গণমাধ্যম। নির্বাহী বিভাগের সাথে গণমাধ্যমের সহযোগিতার বন্ধনে রাষ্ট্র উপকৃত হয়, দেশ এগিয়ে যায়। গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। সমাজকে নির্মাণ ও সঠিক খাতে প্রবাহিত করতে গণমাধ্যমের কোনো বিকল্প নেই।’ বক্তব্যের শুরুতেই মহান স্রষ্টার কাছে শুকরিয়া এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী শেখ হাসিনা তাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। দীর্ঘ ছয় বছর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর তাঁকে রাষ্ট্রের তথ্যের যে দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, তা সফলভাবে পালনের জন্য গণমাধ্যমের সহায়তা কামনা করেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ এ সময় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পনেরই আগস্টের সকল শহিদ, পঁচাত্তর সালের ৩রা নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতা এবং দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী সকলের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের উন্নতির জন্য যেমন স্বপ্ন প্রয়োজন, দেশের উন্নতির জন্যও তাই। এজন্যই জাতিকে স্বপ্ন দেখতে হয়। যে দেশে পঞ্চাশের দশক থেকেই খাদ্য ঘাটতি, মানুষের ঘনত্ব সর্বোচ্চ, মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ সর্বনিম্ন, সে দেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্নই দেখাননি, বিশ্বের দরিদ্রতম দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন।’ ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে জাতিকে আমরা যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলাম, তা যেমন বাস্তবায়ন করেছি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেখানো স্বপ্নও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাস্তবায়ন করবো’ অঙ্গীকার করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ স্বপ্ন পুরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ।

দেশের উন্নতির জন্য মেধা, মনন ও দেশাত্মবোধের সমন্বয়ের বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমের একটি ছোট্ট সংবাদ যেমন সমাজে অনেক তুলকালাম ঘটিয়ে দিতে পারে, একই সাথে নতুন প্রজন্মের মনন তৈরিতে, প্রতিটি হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করতে এবং মানুষের মাঝে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে গণমাধ্যম। আমার বিশ্বাস, গণমাধ্যম তা করবে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমবান্ধব। দেশে গণমাধ্যমের বিকাশ, অনলাইন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রসারও শেখ হাসিনার আন্তরিকতারই প্রতিফলন। গণমাধ্যমের ক্রমবিকাশ ও অভাব-অভিযোগের প্রতিকারের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের পরামর্শ মন্ত্রণালয় সবসময় স্বাগত জানাবে।’