নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অভ্যন্তরীণ নৌপথে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন ও সংরক্ষণের ধারাবাহিকতায় সমুদ্র বন্দরগুলোর আধুনিকায়নে সরকার কাজ করছে। বন্দরের কাজে গতিশীলতা আনতে সরকার দেশে প্রথমবারের মতো মংলা বন্দরের আউটারবারে (সমুদ্রের মুখ এলাকা) ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করেছে। গতকাল মংলা বন্দরের আউটারবার ড্রেজিং প্রকল্প ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের ফলে মংলা বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ড্রেজিং কাজ সমাপ্ত হলে এই সংখ্যা আরো বাড়বে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।

মংলা বন্দরে জাহাজ নোঙ্গর করার স্থান পর্যন্ত সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ আনয়নের লক্ষ্যে বন্দর চ্যানেলের আউটারবারে ড্রেজিং প্রকল্প গ্রহণ করেছে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। আউটারবারের ১১ কিলোমিটার এলাকায় ১ কোটি ৩ লাখ ৯৫ হাজার ঘন মিটার মাটি ড্রেজিংসহ প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭’শ ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ড্রেজিংয়ের কাজটি আগামী জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এপর্যন্ত তিনটি ড্রেজারের মাধ্যমে প্রায় ২৫ লাখ ঘনমিটার মাটি ড্রেজিং হয়েছে। হংকং রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন কোম্পানি যৌথভাবে ড্রেজিং কাজ করছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ আউটারবার ড্রেজিং প্রকল্পসহ মোট চারটি প্রকল্প ৮’শ ২২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে। অন্য প্রকল্পগুলো হলো- ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরসমশন সিস্টেম স্থাপন, সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন ও মংলা বন্দরের হারবার চ্যানেলের ফুড সাইলো এলাকায় ড্রেজিং। মংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হক, প্রকল্প পরিচালক বজলুর রহমানসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।