প্রধান মেনু

প্রতারণার মাষ্টার মাইন্ড মোস্তাফিজুর রহমান

বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের সেরা এক প্রতারক হলেন মুস্তাফিজুর রহমান জুয়েল। যিনি নিজেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে সুকৌশলে প্রতারণা করেন। শুধু তাই নয়, অনেক জায়গায় এমপির ছেলো, কোথাও চেয়ারম্যান এর ছেলে, কোথাও শিল্পপতির ছেলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। এতটাই ধূর্ত তিনি, যে কাউকে বোকা বানায় মুহূর্তেই।
তিনিই একমাত্র ব্যক্তি; যিনি অনেক গুলো মিথ্যা পরিচয় তৈরি করেছেন। নিকৃষ্টতম এ প্রতারক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে প্রতারণার নয়া কৌশল আটেন। এ অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
অভিযুক্ত ব্যক্তি রাজশাহীর, নওগাঁর মহাদেবপুরের সাফাপুর ইউনিয়নের সেরা প্রতারক মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল। মোস্তাফিজুর রহমান তার আসল নাম,কিন্তু জায়গা বিশেষ নাম দেন সাজু,জুয়েল,এমন অনেক নাম। তিনি রাজশাহীর সাফাপুর ইউনিয়নের পাঠাকাটা  গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একজন দিন মুজুর।
মোস্তাফিজের বিশেষ এক দক্ষতা ছিল ছোটবেলা থেকেই।অভাবের সংসারে অন্যদের পটিয়ে কিভাবে নিজের ফায়দা লুটা যায় সেটা তিনি ছোট বেলা থেকেই রপ্ত করেন।
ছোট বেলা থেকে ওকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।জুয়েল তার দুষ্টু জ্ঞান ও ধূর্ততার মাধ্যমে নানাভাবে মানুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ উপার্জন করা শুরু করেন। এরপর তিনি নিজ এলাকা থেকে ফরিদপুর পালিয়ে যান। তারপর কাপড়ের দোকান শুরু করেন। এই কাজের পাশাপাশি কৌশলে নারীদেরকে প্রতারণার অস্ত্র হিসাবে জাল বিছান।
জানা যায়, মুস্তাফিজ একসময় রাজশাহীতে ফার্নিচারের  ব্যবসা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন। তবে ব্যর্থ হন। এরপর থেকে মুস্তাফিজুর  অনেক মেয়েদেরকে পটিয়ে তাদের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়ান এবং তাদের থেকে টাকা হাতিয়ে নেন।  তিনি নিত্য নতুন উপায়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেন।
মানুষের নকল স্বাক্ষর তৈরিতেও দক্ষ তিনি। তিনি এতটাই ধূর্ত  যে, তিনি বলেন তার সাথে যে ৫ মিনিট কথা বলবে সেই তার প্রতি ফিদা হয়ে যাবে।তার প্রেম পড়ে যাবে।তার মধ্যে একটা বিশেষ গুন হচ্ছে তিনি যখন কথা বলেন তার মুখে আল্লাহর নাম থাকে।
জুয়েল একজন ভালো অভিনেতাও বটে।ভালো কান্নার অভিনয় করে মিথ্যা বলে যে কারো মন জয় করে নিতে পারেন সহজেই।  একসময় তিনি সাজতেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, কখনো আবার সমাজকর্মী কিংবা অভাবি লোক। স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি বিয়ের কাবিন নামা সহ অনেক অপরাধ এর সাথে যুক্ত। প্রতারক যখন রবিন হুড।
বিশ্বখ্যাত প্রতারক হলেও যখন যে এলাকায় থাকেন  সেখানে তিনি একজন ভালোমানুষ হিসাবে পরিচিতি পান। জুয়েলের বাবার সাথে কথা বল্লে তিনি জানান জুয়েল এলাকায় অনেক অপকর্ম করে পালিয়ে যায়।তার তিন মাসের বাচ্চাটাকে তাদের কাছে রেখে। তার স্ত্রী চাকরি করেন।সেখান থেকেও টাকা নিয়ে আর ফেরত দেন না। তারা দিনমজুর দিন আনেন দিন খান।তাদের কোন খোঁজ খবর নেন না। কিন্তু এই ভয়ানক প্রতারক বিভিন্ন জায়গায় বলেন তিনি শিল্পপতি।তার বাড়ি আছে গাড়ী আছে ঢাকার শহরে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট আছে।
এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন এই ভয়ানক প্রতারক।তার প্রতারণার কৌশল এতটাই নিখুঁত যে কারো সাথে প্রতারণার আগে তার গোপন কথোপকথন,গোপন ছবি,ইত্যাদি তার কবজায় রাখেন যাতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস না পায়।এভাবেই সুকৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতারণা।তার ফাঁদে পড়ে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন এমন সংখ্যা সাংবাদিকের তদন্তে প্রায় ৮ জন।আরো তো অনেক রয়েছে যা সাংবাদিকরা তদন্ত করছে। বিকাশ প্রতারনার চক্রের মতো একটি অপরাধী চক্রের মূল হোতা সে তা বলার আর বাকি থাকে না।