প্রকৃতির দোহাই দিয়ে নিজেদের দায়ভার এড়াতে চান (বি আই ডব্লিউ টিসি) কর্মকর্তারা

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাট ও রাজবাড়ি জেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট দিয়ে দেশের দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের ২০/২২ টি জেলার কয়েক হাজার যানবানহ পারাপার হয় প্রতিদিনই। এছাড়া এই অঞ্চলের জনসাধারনের রাজধানী সহ দেশের অন্যান্য স্থানে পৌছানোর জন্য অন্যতম নৌ রুট এটি।
সপ্তাহজুড়ে পদ্মা নদীতে অব্যাহত ভাবে পাণি বৃদ্ধির কারনে ও প্রচন্ড স্রোত থাকায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে। এতে করে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এই নৌরুটের ফেরি চলাচল।
এছাড়া সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের-২ নম্বর ঘাট পন্টুন। যে কারণে ঘাটে রয়েছে পল্টুন সংকট। পল্টুন সংকটের কারনে ফেরি ঘাটে লোড আনলোড হতে ব্যাপক সময় লাগার কারনে উভয় পারে সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক যানযট।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেল ৪ টা পর্যন্ত নৌরুটের উভয় ঘাটে আট শতাধিক যানবাহন অপেক্ষমান থাকতে দেখা যায়।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ জানান, নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় ২ নম্বর ঘাট পন্টুন দিয়ে যানবাহন পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওই ঘাটটি সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকার কারণে ফেরি চলাচলে সময় লাগছে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময়। সবশেষ যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাক মিলে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় প্রায় ৫ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া বর্ষা মৌসুমে পাণি বৃদ্ধি সহ প্রচন্ড স্রোতের কারনে ঘাটের পল্টুন সমস্যা সমাধান ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও যাত্রীদের দূর্ভোগ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পূর্ব প্রস্ততি কি ছিলো এ বিষয়ে জানতে, আরিচা (বিআইডব্লিউটিসি) কর্মকর্তাদের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোনটি রিসিভ না করাতে এ বিষয়ে কোন কিছু জানা সম্ভব হয়নি। পাটুরিয়া ফেরিঘাট শাখা ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুক্তার হোসেন জানান, নৌরুটে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে জন্য ছোট বড় মিলে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।
এছাড়া পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাস-ট্রাক মিলে সাড়ে তিন শতাধিক যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান, এই পুলিশ কর্মকর্তা।
(মোঃ সোহেল রানা, বিশেষ প্রতিনিধি)