প্রধান মেনু

পুলিন দে আজীবন নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন -গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী

 অধ্যাপক পুলিন দে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সবসময় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন। বার্ধক্য কখনই তাঁকে মিছিল-মিটিং থেকে বিরত রাখতে পারেনি। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আমৃত্যু তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন প্রতিটি রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচিতে। আদর্শ ও দলের প্রতি একাগ্রতার কারণেই তিনি আজীবন নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা অধ্যাপক পুলিন দে ও আতাউর রহমান কায়সারের স্মরণে এক আলোচনা সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক পুলিন দে’র প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। গণপূর্ত মন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক জীবনে এই দুই নেতার সাথে সাংগঠনিক কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। আতাউর রহমান কায়সার সম্পর্কে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কায়সার সাহেবের ওপর দায়িত্ব দিতেন। বিশেষ করে সংগঠনের অর্থনীতি বিষয়ক লেখালেখি ও গবেষণার কাজে কায়সার সাহেবকে দায়িত্ব দিতেন। ওয়ান ইলেভেনের পর দলের মধ্যে সংস্কারবাদিতার আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। সে সময়েও কায়সার দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন নেত্রীর প্রতি। সংস্কারবাদীদের বিপক্ষে তিনি সর্বদা সোচ্চার ছিলেন।

প্রকৃতপক্ষে কায়সার সাহেব বুঝতে পারতেন যে, শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না গেলে এদেশের উন্নয়নও ঘটবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সৈয়দ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, চট্টগ্রাম উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক শাহজাদা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড অভ্ধসঢ়; ডিরেক্টর জাহানারা বেগম, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাখাওয়াৎ হোসেন বকুল প্রমুখ।