প্রধান মেনু

পিঁয়াজ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সাথে বাণিজ্য সচিবের বৈঠক

বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন বলেছেন, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে পিঁয়াজের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নৈতিকতার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। পিঁয়াজ আমদানি ও বাজারজাত সহজ ও দ্রুত করতে সরকার ইতোমধ্যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং তদারকি জোরদার করেছে। প্রতিবেশী ভারত প্রতি মেট্রিক টন পিঁয়াজের ‘মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইজ’ (এমইপি) নির্ধারণ করার কারণে বাংলাদেশ এখন মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিশর থেকেও পিঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। মিয়ানমার থেকে ইতোমধ্যে পিঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে এবং মিশর ও তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ পিঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হয়েছে যা কয়েক দিনের মধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। ফলে ভোক্তাদের আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই, পিঁয়াজের মূল্য দ্রুত কমে আসছে।

বাণিজ্য সচিব আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পিঁয়াজের আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে পিঁয়াজের বাজারদর বিষয়ে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করে এসব কথা বলেন। সচিব পিঁয়াজ আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আমদানি, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা জানান, পিঁয়াজের বর্তমার মূল্য খুবই সাময়িক। স্থানীয় বাজারে পিঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, আমদানিও বাড়ছে। সরকারের চলমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকায় পিঁয়াজের বাজার দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসছে।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, ট্যারিফ কমিশনের সদস্য আবু রায়হান আল-বেরুনী, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ ইদ্রিস, ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এবং মোঃ মিজানুর রহমান, পিঁয়াজ আমদানিকারক হাজী মোঃ মাজেদ, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ হাফিজুর রহমান, নারায়ন চন্দ্র রায়, উত্তম কুমার সাহা ও মোঃ আব্দুল মান্নান এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।



« (পূর্বের খবর)