পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর): রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২২ বছরপূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য এলাকার সকল অধিবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং রাঙ্গামাটি নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের অপার আধার। যুগযুগ ধরে পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্নজনগোষ্ঠীর বর্ণিল জীবনাচার, ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এ অঞ্চলকে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছে। পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক উদ্যোগে সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এর ফলে পার্বত্য জেলাসমূহে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটে। সূচিত হয় শান্তির পথচলা। শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে এটি একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অঞ্চল। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। শান্তি চুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। পার্বত্য জেলাসমূহের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমি দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে পার্বত্য শান্তি চুক্তি ইতিবাচক
ভূমিকা রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”।