পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে — বীর বাহাদুর উশৈসিং

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে অগ্রাধিকারমূলক আঞ্চলিক উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের নির্মম হত্যাকা- সেই পরিকল্পনা স্থবির হয়ে পড়ে এবং সশস্ত্র সংঘাতের পটভূমি তৈরি হয়। পরে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোনো তৃতীয় পক্ষের সহযোগিতা ছাড়াই শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়, যার ফলে শান্তি, সম্প্রীতি আর উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়। মন্ত্রী আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাস্ত করা হবে না। আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ইনস্টিটিউট অভ- কনফ্লিক্ট, ল এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (আইসিএলডিএস) আয়োজিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন : সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৮টি সম্পূর্ণ, ১৫টি আংশিক ও ৯টির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বিধিমালা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সরকার এসডিজি এবং নির্বাচনি ইশতেহার মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আইসিএলডিএস এর চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমিরের সভাপতিত্বে এবং ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, সাবেক রাষ্ট্রদূত সি এম সফি সামি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক আহমেদ মোহসিন, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, সাবেক রাষ্ট্রদূত শমসের মোমিন চৌধুরী, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ। বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোঃ আব্দুর রশীদ।