পানগাঁও ও আশুগঞ্জে দু’টি কার্গো টার্মিনাল নির্মিত হবে
সার, গম, ভুট্টা, সিমেন্ট ও অন্যান্য পণ্য নদীপথে সহজে পরিবহণের জন্য পানগাঁও ও আশুগঞ্জে দু’টি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কার্গো টার্মিনাল দু’টির মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ এর আওতায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করবে। আজ রাজধানীর মহাখালীস্থ ব্যাক সেন্টারে পানগাঁও ও আশুগঞ্জে দু’টি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ সংক্রান্ত সমীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলা নাথ দে কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিডিসি’র দলনেতা সুভাশীষ সেন (Subhasis Sen), বিশ্বব্যাংকের টাস্ক টিম লিডার রাজেশ রোহতগি (Rajesh Rohatgi) ও প্রকল্প পরিচালক মাহমুদ হাসান সেলিম। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টেকহোল্ডারগণ কর্মশালায় অংশ নেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক পথের ওপর পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমানোর উদ্দেশে অভ্যন্তরীণ নৌ-পথসমূহ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সাথে দীর্ঘদিনের আলোচনা শেষে প্রাথমিকভাবে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক বিশ্বব্যাংকের আইডিএ ফান্ডের সহায়তায় প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন প্রকল্প-১ এর আওতায় চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌ-পথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ ১ জুলাই ২০১৬- ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত। প্রকল্পের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ২ হাজার ৮৮০ কোটি এবং বাংলাদেশের ৩২০ কোটি টাকা।