পাকিস্তানে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপিত

ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর) : আজ বাংলাদেশ হাইকমিশন ইসলামাবাদ যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং ইসলামাবাদে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এ উপলক্ষে চান্সারি প্রাঙ্গণ বিজয় দিবসের ব্যানার, পোস্টার ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে সজ্জিত করা হয়।
হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসীদের উপস্থিতিতে চান্সারি প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। পতাকা উত্তোলনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রমান আকৃতির প্রতিকৃতি ও অস্থায়ী জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে বঙ্গবন্ধু ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার ও অন্যান্য কর্মকর্তা। হাইকমিশনার ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়ে আলোকচিত্র, পোস্টার, বই ও প্রকাশনার দু’টি পৃথক প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।
আলোচনা পর্বে হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য তুলে ধরেন। হাইকমিশনার বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের এ দিনে দীর্ঘ তেইশ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
এরপর বঙ্গবন্ধু ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
সবশেষে, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।