প্রধান মেনু

পাইকগাছা লতার হানি-কাঠামারী খেয়াঘাট পাকাকরণের উদ্যোগ নিয়েছেন পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক কর্মী সনজিত সরকার

এস, এম, আলাউদ্দিন সোহাগ, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছার অবহেলিত লতা ইউনিয়নের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন লতা ইউনিয়ন পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সনজিত সরকার। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইউনিয়ন মধ্যবর্তী গুণাখালী নদীর হানি- কাঠামারী খেয়াঘাটটি পাকা করণের উদ্যোগ নিয়েছেন। শনিবার এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে তিনি পাকাকরণ কাজের উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে চলমান উন্নয়ন থেকে লতা ইউনিয়ন এখনো অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। নদ-নদীর কারণে এখনো স্থাপন হয়নি সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গত কয়েকবছর আগেও পিছিয়ে ছিল ইউনিয়নটি। যদিও লতা ইউনিয়ন ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করায় উন্নতি হয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। একই ভাবে লতা ইউনিয়ন সাংস্কৃতিক জোট আত্মপ্রকাশের পর সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে যাতায়াতে এলাকাবাসীর দূর্ভোগের যেন অন্ত নাই। বিশেষ করে ইউনিয়নের মধ্যবর্তী গুণাখালী নদীর হানি-কাঠামারী খেয়াঘাটটি পাকাকরণ না হওয়ায় পারাপারে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয় এলাকার মানুষকে। অত্র খেয়াঘাটটি ইউনিয়নের সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ। এলাকাবাসীর দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে লতা ইউনিয়ন পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সনজিত সরকার ব্যক্তিগতভাবে খেয়াঘাটটি পাকাকরণের উদ্যোগ নিয়েছেন।

এতে কমপক্ষে দেড় লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। শনিবার তিনি এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে খেয়াঘাটের পাকাকরণ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। নির্মাণকাজ শেষ হলে খেয়া পারাপারে এলাকাবাসীর দূর্ভোগ কমে আসবে বলে সনজিত সরকার জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লুসা সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সব্যসাচী মন্ডল, লতা ইউনিয়ন সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বিকাশ চন্দ্র মন্ডল, উদ্যোক্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তা নিউটন রায়, প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি মন্ডল, রণজিত রায়, অধ্যাপক স্বপন কুমার মন্ডল, ইউপি সদস্য পরান মালী, রায় সমীর কুমার, কমলেশ মন্ডল, মিঠুন মন্ডল, শওকত হাওলাদার, কামরুল ইসলাম, শুভংকর মন্ডল, প্রেমাংশু মন্ডল, রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও অনুপ সরকার।