পাইকগাছায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে চলছে জুয়েলার্স সমিতির কার্যক্রম; নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবী
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ পাইকগাছায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে চলছ জুয়েলার্স সমিতির কার্যক্রম। কমিটির মেয়াদ দীর্ঘদিন উত্তীর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত কোন নির্বাচন হয়নি। পূর্বের কমিটির একাংশ সভাপতি-সম্পাদক ও অপর একটি অংশ আহবায়ক দাবী করে আসছে। দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ায় সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিষদের কার্যাক্রমে হ য ব র ল অবস্থা তৈরী হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রীকভাবে পরিচালনার জন্য সমিতির বেশিরভাগ সদস্য অচিরেই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী পরিষদ গঠনের দাবী জানিয়েছেন।
সূত্রমতে, উপজেলা সদরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি পাইকগাছা শাখা নামে একটি সংগঠন রয়েছে। সংগঠনের আওতায় প্রায় ৭০জন সদস্য রয়েছে। সমিতির সদস্যরাই সমিতি পরিচালনার জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করে থাকে। পূর্বের গঠিত কমিটির মেয়াদ দীর্ঘদিন উত্তীর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটির গঠন করা সম্ভব হয়নি। সমিতির দুটি অংশের ব্যবসায়ী নেতা সমিতির নেতৃত্ব দাবী করেছে। যার একটি অংশে সভাপতির দাবী করেছেন মুক্তা জুয়েলার্সের সত্ত্বাধিকারী মধুরঞ্জন কর্মকার।
অপর একটি অংশে আহবায়কের দাবী করেছেন মাতৃ জুয়েলার্সের সত্ত্বাধিকারী শংকর দত্ত। নির্বাচন না হওয়ায় পরস্পর দুটি পক্ষ এ ধরণের দাবী করে আসছে। ফলে শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা পরিষদ না থাকায় ভেঙ্গে পড়েছে সমিতির কার্যক্রম। একদিকে যত্রতত্র গড়ে উঠছে স্বর্ণের দোকান। অপর দিকে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী যে যারমত ব্যবসা পরিচালনা করছে। অনেকেই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই স্বর্ণের অন্তরালে দেদারছে পরিচালনা করছে বন্ধকী ব্যবসা। এদের মধ্যে অনেকের নেই কোন বৈধ লাইসেন্স। ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ী। কার্যকরী কোন পরিষদ না থাকায় এসব সমস্যা থেকে প্রতিকার পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। অনেক ব্যবসায়ী ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। সাধারণ মানুষও অনেক ক্ষেত্রে প্রতারিত হচ্ছেন। এসব দেখভাল করার জন্য সমিতির একটি শক্তিশালী কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী নেতা শংকর দত্ত জানান, হিসাব নিকাশ নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় গত ২ বছর আগে আমাকে আহবায়ক করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। অথচ পূর্বের সভাপতি-সম্পাদক এখনো তারা সভাপতি- সম্পাদকের পরিচয় দিয়ে চলেছেন। ব্যবসায়ীক নেতা মধুরঞ্জন কর্মকার জানান, নির্বাচন উপলক্ষে ২ বছর আগে শংকর দত্তকে আহবায়ক করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ১ সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন করার কথা থাকলেও গত ২ বছরেও অধিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে পারেনি। ওই কমিটির আহবায়ক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ফলে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে আমরা দায়িত্ব পালন করে আসছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির দীর্ঘদিনের এ সভাপতি।