পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছায় জনৈক মহিলার কারণে একাধিক পরিবারের মধ্যে অশান্তির ফলে ফিরোজা বেগম দুটি জমজ সন্তান নিয়ে পথে পথে ঘুরছে। ঐ মহিলার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায় এলাকার সাধারণ মানুষ। ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা যায়, খুলনার পাইকগাছার বেতবুনিয়া গ্রামের আবু মোড়লের পুত্র নুর মোহাম্মদের সাথে একই এলাকার আলী গাজীর কন্যা নাসিমার সাথে ২০/২২ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়াত মোতাবেক বিয়ে হয়।

সে ঘরে তার এক পুত্র সন্তান হয়, যার নাম রাকিব, বয়স- ২০ বছর। বিয়ের ৮/১০ বছর পর থেকে এলাকার জনৈক বজলু গাজী, নুর মোহাম্মদের বাড়ীতে আসা-যাওয়া করতে করতে তার স্ত্রীর সাথে গড়ে অবৈধ সম্পর্ক। এক পর্যায়ে নুর মোহাম্মদকে তালাক দিয়ে বজলু গাজীর সাথে বিয়ে করে। সে ঘরে তার এক কন্যা সন্তান আছে, বয়স- আনুমানিক ১২ বছর। বজলু গাজীর ঘরে থাকাকালে কৌশলে জায়গা জমি সহ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় জনৈক নাসিমা।

ইতোমধ্যে বজলু গাজীর মৃত্যুর দেড় মাসের মাথায় একই এলাকার আমজাদ মেকানিকের পুত্র মিন্টুকে ফাঁসিয়ে তার সাথে আড়াই লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে। কিছু দিন যেতে না যেতে মিন্টুর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় ২ লাখ টাকা। সম্প্রতি আবার সে প্রথম স্বামী নূর মোহাম্মদের সাথে এফিডেভিট মাধ্যমে বিয়ে করেছে বলে জানা যায়। এদিকে নাসিমা বজলুর ঘর-সংসার করছিল নুর মোহাম্মদ তখন উপায়ন্তর না পেয়ে একই এলাকার বারিক গাজীর কন্যা ফিরোজাকে নিয়ে নতুন করে ঘর-সংসার বাঁধে।

বিয়ের ২ বছর পরে নূর মোহাম্মদের দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভের ২টি জমজ কন্যা সন্তান জন্ম হয়। যাদের নাম হাবিবা ও হালিমা। উভয়ের বয়স সাড়ে ৭ বছর। বর্তমানে ঔ মহিলা নাসিমা আবার নূর মোহাম্মদকে কাছে টানার কারণে জমজ ২টি কন্যা সন্তান নিয়ে পথে পথে ঘুরছে ফিরোজা। এ বিষয়ে সরেজমিনে ঘুরে এলাকার ছুরমান, সাত্তার গাজী, জাবের আলী, মাসুম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুস সবুর মোড়লের কাছে জানতে চাইলে সবাই এক বাক্যে বলেন, এক মহিলার কারণে একাধিক পরিবারে অশান্তি ও অর্থদন্ড হচ্ছে। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতনমহল।