পাইকগাছার শিবসার উপকূলে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা মেরামত চলছে : অসহায় কয়েকটি পরিবার
এস,এম, আলাউদ্দিন সোহাগ, পাইকগাছা (খুলনা) ॥ পাইকগাছার শিবসা করাল গ্রাসের ভেঙ্গে যাওয়া ভাঙ্গন কবলিত এলাকা মেরামতের কাজ চলছে। অসহায় হয়ে পড়েছে ৪টি পরিবার। ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারিভাবে আশ্বাস প্রদান করলেও স্বস্তি পাচ্ছে না পরিবারগুলো। পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউপির শান্তা বাজার সংলগ্ন কুমখালী গ্রামের ওয়াপদার বাঁধটি শিবসা নদীর ঢেউয়ে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ১৯৮৬ সাল থেকে আইয়ুব আলী গাজী, বাবলু গাজী, ইসরাফ আলী গাজী ও তাদের পিতা নুরমান গাজী ১০ কাঠা সম্পত্তি কিনে বসবাস করে আসছে। তখন ওয়াপদার রাস্তাটি ছিল তাদের বাড়ী থেকে প্রায় ২শ মিটার দুরে। প্রতি বছর জলচ্ছাস ও বন্যার আঘাতে সেই ওয়াপদা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে তাদের বাড়ী অতিক্রম করে।
পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে অত্র এলাকার রাস্তাটি নতুন করে গ্রামের ভিতর দিয়ে তৈরী করা হয়। কিন্তু নুরমান গাজীরা থেকে যায় বর্তমান ওয়াপদার রাস্তার বাইরে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় এক ঘের মালিক তাদের বাড়ী এবং নদীর উপকূল দিয়ে আরেকটি রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে। বর্তমান সময়ে শিবসা নদীর অতি জলচ্ছ্বাস ও ঘুর্ণিঝড় ফণী’র আঘাতে রক্ষা বাঁধটি পুনরায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পরিণত হয় এবং নুরমান গাজীদের বাড়ী ঘর ভেঙ্গে যায়। অসহায় হয়ে পড়ে গরীব পরিবারগুলো। শনিবার সকালে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ উক্ত ভাঙ্গন কবলিত এলাকা মেরামত করছে।
রক্ষা বাঁধটি এমনভাবে নেয়া হচ্ছে যা নুরমান গাজী সহ অত্র পরিবারগুলোর বাড়ীর উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। যে কারণে তাদের বসবাস করা আর কোন জায়গা জমি থাকছে না। অসহায় হয়ে পড়েছে তারা। ঐ টুকু জমি ছাড়া তাদের আর কোন জায়গা জমি নাই। নুরমান গাজী জানান, আমাদের যা কিছু ছিল, তা এইটুকু জমির মধ্যে। ভাঙ্গনে নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়া ও বর্তমানে রাস্তা সংস্কারের জন্য সে টুকু শেষ হয়ে গেল। ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস জানান, ওয়াপদার রাস্তা ঠিক রাখার জন্য রক্ষা বাঁধটি ঐ স্থান দিয়ে ছাড়া নিয়ে যাওয়ার অন্য কোন পথ নাই। সে ক্ষেত্রে তাদের ঐ পরিবারগুলোকে ঘর বরাদ্দসহ ঘোষখালী নদীর চর ভরাটি জায়গায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।