প্রধান মেনু

পাইকগাছার কাটাবুনিয়ায় পিতা পুত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম, থানায় মামলা : আসামী গ্রেপ্তার নাই, বাদী ও সাক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায়

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছার কাটাবুনিয়া গ্রামে তুচছ ঘটনায় দুর্বৃত্ত কর্তৃক পিতা পুত্রকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আহতদের পাইকগাছা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় ৯ জন কে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। এলাকাবাসী ও থানার মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কাটাবুনিয়া গ্রামের মৃত আনছার সরদারের পুত্র আব্দুল মালেকের সাথে একই গ্রামের আলহাজ্ব মোজাম সরদারের পুত্র রাজ্জাক সরদারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন মনোমালিন্য চলে আসছিল। তারই সুত্র ধরে গত সোমবার সকালে মালেক পার্শ্ববর্তী ফেদুয়ার আবাদ তাদের মৎস্য লীজ ঘের হতে আটন ঝেড়ে মাছ নিয়ে বাড়ী ফিরছিল। মৌখালী চাঁদখালী রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে তাদের বাড়ীর নিকট পৌছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা রাজ্জাক ও তার বাহিনী লাঠি শোঠা সহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে নিয়ে মালেকের উপর আক্রমন করে। তাদের আক্রমনে মালেকের হাত পা ভেঙ্গে যায় এবং রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বেহুস হয়ে পড়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে রাজ্জাক, পুত্র কবির ও তাদের বাহিনী ঘটনা স্থল ত্যাগ করতে থাকে।

এমন সময় মালেকের পুত্র মাহফুজ সিমেন্ট কিনতে বাড়ী থেকে বের হয়ে মৌখালী বাজারের উদ্যেশে রওনা দেয়। সে ঘটনা স্থলে পৌছালে রাজ্জাকের লোকজন মাহফুজকে দেখা মাত্রই তার উপরও আক্রমন করে তার হাত ও হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে রাখে। তাদের আক্রমন ১৯৭১ সালকেও হার মানিয়েছে বলে প্রতক্ষ্য দর্শীরা জানান। সংবাদ শুনে পাইকগাছা থানা পুলিশ ও চাঁদখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুনছুর আলী গাজী ঘটনা স্থলে যেয়ে আহত পিতা পুত্রকে উদ্ধার করে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় মলেকের পক্ষ থেকে তার স্ত্রী সুফিয়া বাদী হয়ে রাজ্জাক, পুত্র কবির ও আল আমিন,তার সহযোগী শামছুর গাজীর পুত্র এলাহী গাজী, জনাব গাজী, আসাদুল গাজী, মোকাম সরদারের পুত্র দাউদ সরদার, রজব সরদারের পুত্র মেহেদী হাসান ও জাফর সানার পুত্র তরিকুল সানাকে আসামী করে থানায় জি,আর ৪১২/১৮নং মামলা করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ঘটনা মর্মান্তিক, আসামী গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।এ ঘটনায় কোন আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় বাদী ও স্বাক্ষীরা রয়েছে চরম আতংকে। স্বাক্ষীদের বাড়ী বাড়ী যেয়ে হুমকি অব্যহত রেখেছে রজব ও দাউদ।